অমল গুপ্ত, গুয়াহাটীঃ
রাজ্যে নিত্য প্রয়ােজনীয় সামগ্রীর আকাশ সমান মূল্য বৃদ্ধি, জ্বালানি তেল ডিজেল-পেট্রোলের মূল্য বৃদ্ধি, জি,এস,টির দাক্ষিণ্যে জীবনদায়ী ঔষধসহ সব ধরণের ঔষধের মূল্য বৃদ্ধি, ব্যাংকের সুদের ওপর নির্ভরশীল বয়স্ক নাগরিকদের নাজেহাল অৱস্থা। কারণ সুদের হার কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমজনতা নাভিশ্বাস উঠছে। এর মধ্যেই দুঃসংবাদ এল বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট ৪০ পয়সা করে বৃদ্ধি পাবে। আজ বিদ্যুতের ইউনিট বৃদ্ধি সম্পর্কে খানাপারাড় শুনানি গ্রহণ করা হয়। ছয়টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এই শুনানিতে অংশ গ্রহণ করে পুনরায় বিদ্যুতের ইউনিট বৃদ্ধির প্রতিবাদ করে। কিন্তু রাজ্যের আসাম পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঘরােয়া বিদ্যুতের ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিট বিশ পয়সা এবং উদ্যোগিক ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিট চল্লিশ পয়সা করে বিদ্যুতের ইউনিট ধার্য করা হবে। বিদ্যু বিভাগের এক মুখপাত্র জানান, রাজ্যের বিদ্যুত বিতরণের ক্ষেত্রে পরিকাঠামাের অভাব, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুত বিতরণের ক্ষেত্রে যে ধরণের পরিকাঠামাে গড়ে তােলা দরকার তা আর্থিক সংকটের জন্য তা বাস্তবায়িত করা যাচ্ছেনা। এর আগে আসাম পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ইলেকট্রিক ডিউটি’রনামে প্রতি ইউনিট চল্লিশ পয়সা করে মাসুল ধার্যের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কিন্তু বিভিন্ন দিক থেকে বাধা আসায় শেষ পর্যন্ত সরাসরি বিশ পয়সা ও চল্লিশ পয়সা করে দুটি স্ল্যাবে বিদ্যুত মাসুল বৃদ্ধি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ক্যাবিনেট কমিটির অনুমােদনের পর তা কার্যকরী হবে। বিদ্যুৎ বিভাগের এক সূত্র জানান— বর্তমানে বিদ্যুত সরবরাহ ট্রান্সমিশন, ডিস্ট্রিবিউশন, ত্রুটিযুক্ত ট্রান্সফর্মার এবং সর্বোপরি হাইভল্টেজ বিদ্যুত লাইন থেকে হুকিং করে বিদ্যুত টেনে নেওয়া এবং মান্ধাত্তা কালের পুরনাে প্রযুক্তি ব্যৱহারের। ফলে প্রায় সাতাশ শতাংশ বিদ্যুতের অপচয় ঘটছে। অর্থাৎ একশ টাকার মধ্যে সাতাশ পয়সার বিদ্যুৎ ঘাটতি হচ্ছে। আজ খানাপারাড় শুনানি চলাকালীন অনেকে প্রশ্ন তুলেছে বিদ্যুৎ চুরি বন্ধ করতে পারলে বিদ্যুতের মাসুল। বৃদ্ধির প্রয়ােজন পড়ত না। তাছাড়া রাজ্যের সরকারি বিভাগ, রাষ্ট্যায়ত্ব সংস্থাগুলিতে বিদ্যুৎ বিভাগের কোটি। কোটি টাকার অনাদায়ী বিল পড়ে আছে। এইসব ত্রুটি বিচ্যুতি বন্ধ করতে পারলে বিদ্যুতের মাসুল বৃদ্ধির প্রয়ােজন হতাে না। রাজ্য সরকারের নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ খুবই কম। বৃহৎ পরিমাণ বিদ্যুৎ বাইরের রাজ্য থেকে চড়া দামে ক্রয় করতে হচ্ছে। নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি ছাড়া রাজ্যের বিদ্যুৎ সমস্যা থেকেই যাবে বলে আজ শুনানি শিবিরে অভিমত পােষণ করা হয়েছে।
0 comments: