আগামী ৫ বছরে রাজ্যে নির্মাণ করা হবে এক হাজার কংক্রিট সেতু

অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : 
আগামী ৫ বছরে রাজ্যে এক হাজার কংক্রিট সেতু নির্মাণ করা হবে৷ পুর্তমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য আজ বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে এ আই ইউ ডি এউ দলের সদস্য মামুন ইমদাদুল হক চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান। তিনি বলেন, তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০১৭-১৮ বর্ষে প্রাথমিক পর্যায়ে ২০০টি সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তার মধ্যে ১৩৫টি সেতুর প্রারম্ভিক নির্মাণ কার্য শুরু হয়েছে। নাবাৰ্ড-এর অনুমােদন ক্ৰমে ৮০টি সেতু নির্মাণ করা হবে। সব মিলেয়ে ১০৫০ টি সেতুর অনুমােদন জানানাে হয়েছে। এ আই ইউ ডি এফ-এর সদস্য আমিনুল ইসলামের প্রশ্ন ছিল রাজ্যে বিটুমিনের দ্বারা নির্মিত পাকা সড়কের স্থায়িত্ব কত বছর। মন্ত্ৰী জবাবে জানান, গ্রামীন সড়কের ক্ষেত্রে PMGSY প্রকল্প ও ডিজাইন অনুযায়ী সড়কের স্থায়ীত্ব ১০ বছর। তবে রাজ্যের অধিকমাত্রায় বৃষ্টিপাত এবং মাটির গুণাগুণের জন্য ১০ বছরের কম সময় স্থায়িত্ব লাভ করে। কিন্তু বর্তমানে নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করার ফলে সড়কের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। 
বিধায়ক নুরুল হুদার এক প্রশ্নের জবাবে জানান, নগাঁও জেলার ৮০টি সড়ক মেরামতের জন্য ১২৭কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে। করিমগঞ্জ জেলার ১৬টি সড়কের জন্য ৪৫ কোটি টাকা, হাইলাকান্দি জেলার ৪টি সড়কের জন্য ১৬কোটি টাকা এবং কাছাড় জেলার ১২টি সড়কের জন্য ৪৩ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে। মন্ত্রী শুক্লবৈদ্য জানিয়েছেন, রাজ্যের ২৫টি জেলায় ৭৯৪টি সড়ক সংস্কারের জন্য ১৫৪০.২৪কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে। কংগ্রেস সদস্য রাজদ্বীপ গােয়ালার এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জনান কাছাড় জেলার পয়লাপুল থেকে জয়পুর পর্যন্ত সড়কের অনুমােদন এখনও আসেনি, তবে DPR প্রস্তুত চলছে। অর্থের ওপর সব কিছুনির্ভর করছে। 
সুজাম উদ্দিন লস্করের প্রশ্নের জবাবে পুর্তমন্ত্রী জানিয়েছেন, ১৫৪নংরাষ্ট্রীয় জাতীয় সড়কের কাটালিচেড়া বাইপাসে থাকা ROB ৰ দুইটি approach roadর কাজ ৯০ শতাংশ সম্পূর্ণ হয়েছে এবং Railway Spanর Supper Structure র CRS যাবতীয় অনুমােদনের জন্য কলকাতাস্থিত কার্যালয়ে পাঠানাে হয়েছে। Railway Spanর কাজ সম্পূর্ণ হলে কাটলিচড়া বাইপাস খুলে দেওয়া হবে। 
প্রতি মাসে মাছের চাহিদা ২৮.৫ হাজার টন 
মৎস দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুর্তমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য জানান, রাজ্যে প্রতি মাসে মাছের চাহিদা ২৮.৫ হাজার টন, চাহিদা অনুযায়ী রাজ্যে মাছ উৎপাদিত হয় ৮৯শতাংশ। গত ১৬-১৭ অৰ্থ বর্ষে প্রতি মাসে মাছ আমদানী করা হয়েছিল। ১০১৫ মেট্রিকটন করে। অগপর পবিন্দ্ৰ ডেকার এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, কঁচা মাছ আমদানীর ক্ষেত্রে রাজ্যে সরকার কোনও কর আরােপ করে না, তবে শুকনাে মাছের ক্ষেত্রে সরকার কর নেয়। ২০১৬-১৭ অর্থ বর্ষে শুকনাে মাছ থেকে রাজ্য সরকার ১৪৩.৭৯ লাখ টাকা রাজস্ব লাভ করেছে।

SHARE THIS

No. 1 Web Media in North-East India. Maintained and Published by Saiyad Bulbul Jamanur Hoque on behalf of Save Media Solution (A unit of SAVE).

0 comments: