রাশিয়ার মাটিতে ফরাসি বিপ্লব, বিশ্বজয়ের স্বপ্ন শেষ মেসির


কাজান : তাঁর বাঁ-পায়ের জাদু মুগ্ধ করেছে গোটা ফুটবল বিশ্বকে৷ তাঁর শিল্প দেখে মাথা নত করেছেন তাঁর সমালোচকরাও৷ বোধহয় এমন কোনও ট্রফিই নেই যা তিনি পাননি৷ কিন্তু প্রতি বছর বিশ্বকাপ শুরু হতেই সবাই প্রশ্ন তুলতে থাকেন পারবেন কি লিওনেল মেসি দেশকে বিশ্বকাপ জেতাতে? কারণ তাহলেই তিনি বসে পড়বেন মারাদোনার পাশে৷ ওই লোকটিও যে একার কাঁধে দেশকে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছেন৷ব্রাজিলে একটুর জন্য হয়নি৷ রাশিয়াতে ফুটবল বিশ্বকাপের আগেও তাই দেখা দিয়েছিল সেই প্রশ্ন৷ কিন্তু না তিনি পারলেন না৷ শেষ ১৬-তেই থামতে হল আর্জেন্টিনাকে৷ আবার স্বপ্নভঙ্গ হল লিওনেল মেসির৷ ফ্রান্সের কাছে ৪-৩ গোলে হারল নীল-সাদা জার্সিধারীরা৷ আর মেসির জন্য তৈরি মঞ্চে নায়ক বনে গেলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে৷ জোড়া গোল করে দলের জয়ের অন্যতম কারিগর হয়ে রইলেন ১৯ বছর বয়সি এই খেলোয়াড়৷ পরিসংখ্যান বলছে বিশ্বকাপে কোনওদিনও আর্জেন্টিনাকে হারাতে পারেনি ফ্রান্স৷ সেই পরিসংখ্যানকে বদলে দিতেই যেন এদিন মাঠে নেমেছিলেন এমবাপ্পে-গ্রিয়েজম্যান-জিঁরুরা৷ শুরু থেকে আক্রমণের ঝড় তোলেন তাঁরা৷ অপরদিকে, অতিকষ্টে গ্রুপ পর্বের বাধা টপকে আর্জেন্টিনা আর এদিনের আর্জেন্টিনার মধ্যে যেন কিছুটা হলেও পার্থক্য ছিল৷ তবে শুরুতেই গোল পেয়ে যায় ফ্রান্স৷ ম্যাচের বয়স তখন ১৫ মিনিটও হয়নি৷ বক্সের মধ্যে এমবাপ্পেকে ফাউল করেছিলেন নাইজেরিয়া ম্যাচের নায়ক মার্কো রোজো৷ 
এরপরই পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি৷ যা থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন গ্রিয়েজম্যান৷ এরপরই ম্যাচে জাঁকিয়ে বসতে শুরু করে ফ্রান্স৷ তবে বিরতির ঠিক দু’মিনিট আগে এভার বানেগার পাস থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান ডি মারিয়া৷ ১-১ অবস্থাতেই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা৷ বিরতির পরই খেলা আরও গতিলাভ করে৷ এই অর্ধে মোট পাঁচ গোল হয়৷ তার মধ্যে তিনটি ফ্রান্সের, দু’টি আর্জেন্টিনার৷ তবে শুরুটা করেছিলেন মেসিরা৷ ৪৮ মিনিটে মেসির শট মের্কাডোর পায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে গোলে ঢুকে যায়৷ যদিও ১০ মিনিটের মধ্যেই গোল শোধ করে ফ্রান্স৷ পার্ভাডের দুরন্ত শট রুখতে ব্যর্থ হন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক৷ এরপর মাঠে দেখা গেল এমবাপ্পে ম্যাজিক৷ ৬৪ এবং ৬৮ মিনিটে জোড়া গোল করেন পিএসজি-র এই তারকা খেলোয়াড়৷ পেলের পর দ্বিতীয় টিনএজ খেলোয়াড় হিসেবে নক আউটে গোল করলেন৷ তবে অনায়াসে হ্যাটট্রিকটিও সেরে ফেলতে পারতেন৷ কিন্তু নিজের ভুলে পারলেন না৷ এরপর অতিরিক্ত সময়ে একটি গোল শোধ করলেও আর্জেন্টিনার কাপ জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখতে তা যথেষ্ট ছিল না৷ আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড আগুয়েরো যে সময় জ্বলে উঠলেন, তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে৷ তবে অন্তিম লগ্নে নীল-সাদা জার্সিধারীরা গোল করার কয়েকটি সুযোগ কিন্তু পেয়েছিলেন৷ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সময়ে লিও মেসি অ্যান্ড কোংয়ের ব্যর্থতায় শেষ হাসি হাসল ফ্রান্স৷ কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগাল-উরুগুয়ে ম্যাচের বিজয়ীর সঙ্গে খেলবেন গ্রিয়েজম্যানরা৷

SHARE THIS

No. 1 Web Media in North-East India. Maintained and Published by Saiyad Bulbul Jamanur Hoque on behalf of Save Media Solution (A unit of SAVE).

0 comments: