
গুয়াহাটি, ১৯ ফেব্রুয়ারীঃ বরাক উপত্যকায় ১১ জন যুবক বাংলাভাষা রক্ষায় প্রাণ আহুতি দিয়েছিলেন। ১৯৬১ সালে বাংলাভাষী বরাক উপত্যকায় অসমীয়া ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে সেখানকার বাঙালীরা তীব্ৰ গণ আন্দোলন গড়ে তােলেন। শিলচর রেলওয়ে ষ্টেশন অবরােধ করার সময় বিনা প্ররােচনায় পুলিশের গুলি চালনায় ফলে ১ জন যুবতী সহ ১১ জন শ্বহীদ হন। সে শ্বহীদের আজ পর্যন্ত সরকারী স্বীকৃতি জানানাে হয়নি। রাজ্যের অর্থ মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, শ্বহীদদের স্বীকৃতি জানিয়ে উপযুক্ত মৰ্য্যাদা ও আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে, তা আজও পুরণ করা হয়নি। শিলচর রেলওয়ে ষ্টেশনকে ভাষা শ্বহীদ ষ্টেশন হিসেবে গণ্য করার দাবিতে বহু আন্দোলন হয়েছে। সেই দাবিও আজও পুরণ হয়নি। সােমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সােনােয়ালের পক্ষে সংসদীয় পরিক্রমা মন্ত্রী চন্দ্রমােহন পাটোয়ারী কংগ্রেস সদস্য কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের এক প্রশ্নের জবাবে জানান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র এবং রাজনৈতিক বিভাগ শিলচর রেলওয়ে ষ্টেশনকে ভাষা শহীদ ষ্টেশন হিসেবে গণ্য করার ক্ষেত্রে কোনও আপত্তি জানায়নি। এনওসি দিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন সংগঠন রাজ্য সরকারের কাছে স্মারক পত্র দিয়ে প্রস্তাবিত নামের বিরােধিতা করেছে। তাই রাজ্য সরকার বিষয়টি পৰ্যালােচনা করে বিভিন্ন জনগােষ্ঠী সম্প্রদায়ের মধ্যে সমন্বয় রক্ষার তাগিদে আইন শৃংখলা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে নামকরণের বিষয়টি আপাতত স্থগিত রেখেছে। অসম বিধানসভার উপাধ্যক্ষ তথা শিলচরের বিজেপি বিধায়ক দিলীপ পাল কিন্তু বলেছিলেন ‘শিলচরের মানুষদের বাংলাভাষার প্রতি অনিহা, তাদের ছেলে-মেয়েরা ইংরেজী বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করায়। তাই শিলচরের মানুষের মানসিকতা পরিবর্তন হলেই যে কোনও সময় শিলচর রেলওয়ে স্টেশনের নাম ভাষা শ্বহীদ ষ্টেশন হিসাবে রাখা হবে, এক মিনিটও সময় লাগবে না। কিন্তু আজ বিধান সভায় সরকার নামকরণের বিষয়টি স্থগিত রাখার কথায় বলেছে।
0 comments: