ওয়েব সংবাদ : অনশনের পাল্টা অনশন। জাতীয় রাজনীতিতে এখন এটাই চর্চিত বিষয়। কারণ বৃহস্পতিবার সারাদিন অনশনে বসতে চলেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ–বিজেপি সাংসদরা। বিরোধীরা যেভাবে সংসদের অধিবেশন ভণ্ডুল করে দিয়েছে দিনের পর দিন তারই প্রতিবাদে এই অনশনের পরিকল্পনা। কিন্তু দলিত নির্যাতনের প্রতিবাদে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সোমবার দেশ জুড়ে প্রতীকী অনশনের আয়োজন করেছিল কংগ্রেস। দলের সভাপতি রাহুল গান্ধী রাজঘাটে গিয়ে অনশনে অংশ নিয়েছিলেন। ঠিক তার পরের দিন পাল্টা অনশনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সরকার চাপে রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
রাহুল সেদিন বলেছিলেন, ‘গোটা দেশ জানে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দলিত–বিরোধী। তাঁর মনে দলিতের জন্য কোনও স্থান নেই।
মোদি সরকার দেশে হিংসা ছড়াবে, কংগ্রেস তা কখনওই মেনে নেবে না। ২০১৯ সালের নির্বাচনে বিজেপিকে আমরা হারিয়ে ছাড়ব।’ বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর নাম না করে তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগেই বিজেপির একজন নেতা বিরোধী নেতাদের জানোয়ার বলছেন। এটাই ওঁদের মানসিকতার পরিচয়। এই সরকার সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখিয়ে রেখেছে। কংগ্রেস সংবাদমাধ্যমের জন্যেও লড়ছে।’
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ অমিত শাহও এই অনশনে অংশ নেবেন। তবে তিনি কর্নাটকে থেকে অনশন করবেন। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের দপ্তরে এসে কাজ করবেন, কিন্তু তা হবে অভুক্ত অবস্থায়। বুধবার জ্যোতিবা ফুলের জন্মশতবার্ষিকী।
সেই উপলক্ষ্যে সব সাংসদদের নিজ নিজ কেন্দ্রে সমতা দিবস পালনের কথা। তখন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক সাংসদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অনশনের বিষয়ে কথা বলবেন বলে খবর। গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করেছিলেন যে তাঁরা বিভেদের রাজনীতি করছেন। এবার এই অভিযোগে গোটা দিনের অনশনের সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ কংগ্রেসের অনশনকে প্রহসন বলে মন্তব্য করার পর একই পথে বিজেপির হাঁটতে চলেছে। কিন্তু একটা প্রশ্ন থেকেই গেল, তাহলে বিজেপির বিরুদ্ধে দলিত–বিরোধী তকমা ঝেড়ে ফেলতে এবং সংসদে আনা অনাস্থা প্রস্তাব এড়িয়ে যেতেই কী এই অনশন? সবটাই সময় বলবে।
0 comments: