ওয়েব সংবাদ : ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একাধিকবার বিদেশে গচ্ছিত কালো টাকা দেশে ফেরানোর কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই সুর শোনা গিয়েছে বিজেপির অন্যান্য নেতা–মন্ত্রীদের বক্তৃতাতেও। কিন্তু সেসবই যে শুধু কথার কথা, আবারও তা প্রমাণিত হল। সম্প্রতি সুইস ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে ভারতীয়দের জমা টাকার পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। অর্থাৎ ২০১৬ সালে সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের জমা টাকার পরিমাণ যেখানে ছিল ৪৫০০ কোটি টাকা। সেখানে ২০১৭ সালে জমা টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০০ কোটি সুইস ফ্রাঁ অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭০০০ কোটি টাকা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ওই বছরে সুইস ব্যাঙ্কে মোট জমা টাকার পরিমাণ কিন্তু বেড়েছে মাত্র ৩ শতাংশ।
১৯৮৭ সাল থেকেই এই রিপোর্ট প্রকাশ করে আসছে সুইস ব্যাঙ্ক। আর ২০১৬ সালে ভারতীয়দের জমা টাকার পরিমাণ ছিল সবচেয়ে কম। কিন্তু হঠাৎ করে কীভাবে সেই জমা টাকার পরিমাণ বেড়ে গেল? তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এর আগে ২০০৬ সালে ভারতীয়রা সবচেয়ে বেশি টাকা জমা রেখেছিল সুইস ব্যাঙ্কে। যার পরিমাণ ছিল ২৩ হাজার কোটি টাকা। এরপর ধীরে ধীরে কমতে থাকে সেই টাকার পরিমাণ। কিন্তু আবারও সেটা বৃদ্ধি পাওয়ায় চিন্তিত কেন্দ্রীয়। এদিকে এই খবর সামনে আসার পরই পাল্টা বিবৃতি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূশ গোয়েল। জানিয়েছেন ২০১৯ সালের মধ্যে সুইস ব্যাঙ্কে রাখা সমস্ত কালো টাকা উদ্ধার করবে কেন্দ্র। তিনি বলেন, ‘নয়া চুক্তি অনুযায়ী ২০১৮ সালের পরই যাবতীয় কালো টাকা সংক্রান্ত তথ্য ভারত সরকারের হাতে তুলে দেবে সুইস ব্যাঙ্ক। যাঁদের দোষ প্রমাণিত হবে, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
0 comments: