বরাকের রাস্তা-ঘাট নির্মাণে দুনীতি : তদন্ত করবে সি এম ভিজিলেন্স সেল


গুয়াহাটি : মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল বরাক উপত্যকা সফরের সময় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প খতিয়ে দেখেন এবং টাউন ক্লাবসহ কয়েকটি জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী তার ভাষণে ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিযোগ করেন, বিগত কংগ্রেস রাজত্বে রাস্তা-ঘাট পরিকাঠামো নির্মাণেৰ নামে ব্যাপক দুনীতি হয়েছে। তার আগে দিসপুরে বসেই মুখ্যমন্ত্রী বরাক উপত্যকার কয়েকটি রাস্তা ব্যাপক দুনীতির অভিযোগ পেয়ে সি এম ভিজিলেন্স সেলকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। শিলচরে ইটখোলার পূর্ত বিভাগের এনইসি-র শাখা ডিভিশনকে গত ৩০ আগষ্ট এস ভি সি/আর ই/২/ ২০১২/ ২০১৬/১২-১৮ নম্বর পত্ৰযোগে বরাক উপত্যকার ভাঙা আনিপুর-কানাইবাজার পথ, জামুয়াং-হারিফেী-দুর্লভচরা পথ, ফটিকরাই-ধর্মনগর-চন্দ্রশিরা-কুকীতল পথ, এবং লাওয়াইপুর-কানহােমুন এইচারটি পথ নির্মাণের নামে ব্যাপক দুনীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করে বিশদ তথ্য জানতে চেয়েছে সি এম ভিজিলেন্স সেল।
উত্তর-পূর্ব পরিষদের (এন ই সি) প্রায় একশো কোটি টাকার বরাদ্দকৃত অর্থে পথগুলি নির্মাণ করা হয়েছিল। সি এম ভিজিলেন্স সেল সন্দেহ প্রকাশ করেছে যে বরাদ্দকৃত অর্থ কাজে না লাগিয়ে সিংহভাগ অর্থই সংশ্লিষ্ট নির্মাণকারী ঠিকাদাররা আত্মসাৎ করেছে। শুধু বরাক উপত্যকায় নয় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ পেয়ে সি এম ভিজিলেন্স সেল পূর্ত বিভাগের পুরনো সব ফাইল তলব করেছে বলে সরকারী সূত্রে জানা গেছে। পূৰ্তমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য মুখ্যমন্ত্রীর বরাক সফরে সন্তোষ প্রকাশ করে এই প্রতিবেদককে বলেন— মুখ্যমন্ত্রী নভেম্বর মাসের মধ্যে যতদূর সম্ভব, রাস্তা-ঘাট পরিকাঠামো উন্নয়নের নির্দেশ দিয়েছেন। তারা সেইভাবে কাজ করবেন।

SHARE THIS

No. 1 Web Media in North-East India. Maintained and Published by Saiyad Bulbul Jamanur Hoque on behalf of Save Media Solution (A unit of SAVE).

0 comments: