আন আর সি নিয়ে কংগ্রেসের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক
গুয়াহাটি : জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (এন আর সি)র প্রস্তাবিত দুটি তালিকাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের ধর্মীয় ও ভাষিক সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের প্রামাণ্য নথি-পত্র অগ্রাহ্য করে ৪৭ লক্ষ ৯ হাজার সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মহিলাদের মধ্যে মাত্র ১৭ লক্ষ ৪০ হাজারকে ওরিজিন্যাল ইনহেবিটেন্ট বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। বাকী ২৯ লক্ষ ৬৯ হাজার নাগরিকের ভৱিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। গুয়াহাটি হাইকোর্টও ৪৭ লক্ষ ৯ হাজার মহিলাদের ইসু করা পঞ্চায়েত নথি-পত্র অগ্রাহ্য করেছেন। গত ১২ অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এবং নবীন সিনহাকে নিয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চের রায়র বিরুদ্ধে রাজ্যের ধর্মীয় এবং ভাষিক সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। আগামী ১৫ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে কেন্দ্র করে রাজ্যের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ভয় ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। ইসলামধর্মী ভূমিপুত্র সমন্বয়রক্ষী সংগ্রাম সমিতি মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালের কাছে এক স্মারক পত্র দিয়ে অভিযোগ করেছে গরিয়া-মরিয়াসহ বরাক উপত্যকার দেশী পাঙ্গাল, মাইমাল, জোলহা, কাছারী প্রভৃতির জনগোষ্ঠীর আদি মুসলিম মানুষ ১২শ শতক থেকে এরাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা। অসমের আদি ভূমিপুত্র কোচ-মরাণ-মটক-হাজোং-নাথ-যোগী-ডিমাসা প্রভৃতি জনগোষ্ঠী থেকে ইসলাম ধর্মে ধমন্তিরিত হয়েছিল। সেই ১২শ শতিকার লোকদেরও ওরিজিন্যাল ইনহেবিটেন্ট বা ভূমিপুত্র বলা হচ্ছেনা। যা অত্যন্ত লজ্জাজনক। এই বিষয়টি নিয়ে আজ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈর সরকারী বাসভবনে কংগ্রেসের এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি রিপুন বরাসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গগৈ বলেছেন— বিদেশী শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে কংগ্রেস, আসু, অগপ, বিজেপি থেকে কোনও অংশ পিছিয়ে নেই। আমি কোনও দিন বিদেশির ভোটে মুখ্যমন্ত্রী হয়নি। আমার বিদেশী ভোট চায়না। জাতীয় নাগরিকপঞ্জী আমারই সৃষ্টি। আমার ব্ৰেনচাইন্ড। আসুর সঙ্গে আমার স্থিতির কোনও অমিল নেই। আমি হিন্দু-মুছলিমের মধ্যে কোনও বিভাজন টানছিনা। প্রতীক হাজেলা কংগ্রেস দিনে যেরকম সক্রিয় ছিলেন, এখন কিন্তু সেরকম সক্রিয় নয়। তিনি ডিসেম্বরের মধ্যেই এন আর সি কাজ সম্পূর্ণ করার দাবী জানান।
0 comments: