![]() |
এনআরসি-র নডেল অফিসার প্রতীক হাজেলার সঙ্গে এক বৈঠকে আমসুর সভাপতি আজিজুর রহমান
|
আজও খিলঞ্জিয়া বা ভূমিপুত্রের সংজ্ঞা নির্ণয় করা হয়নি
গুয়াহাটি : সম্প্রতি রাজ্যে এনআরসি উন্নীতকরণ প্রক্রিয়ায় গ্রাম পঞ্চায়েত সচিব দ্বারাই সু-কৃত নথি-পত্রগুলো সার্কোল অফিসার দ্বারা প্রত্যায়িত হওয়ার পরও গৌহাটি হাইকোর্টের এক রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ৪৮ লক্ষ ধর্মীয় ও ভাষিক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মহিলাদের নাম এন আর সিতে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। রাজ্যের সংখ্যালঘু সংগঠনগুলো হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। এনআরসি-র নডেল অফিসার প্রতীক হাজেলা ভোটারদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে একাংশকে ওরিজ্যিনাল ইনহ্যাবিটেণ্ট (ও আই) আখ্যা দিয়ে রাজ্যের সিংহভাগ সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীদেরকে সন্দেহের আবর্তে ঠেলে দিয়েছে। সারা আসাম সংখ্যালঘুছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি আজিজুর রহমান আজ এই প্রসঙ্গে বলেন যে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের কাছে জানতে চাইবে রাজ্যের এন আর সি প্রধান হাজেলা কিসের ভিত্তিতে একাংশকে ও আই বলে চিহ্নিত করলেন যিহেতু আজও খিলঞ্জিয়া বা ভূমিপুত্রের সংজ্ঞা নির্ণয় করা হয়নি। আগামী ১৫ নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টে শুনানির দিনে আমসু সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর স্বার্থে ওকালতি করবে। রাজ্যের সংখ্যলঘু জনগোষ্ঠীকে এন আর সিতে অন্তর্ভুক্ত করা নাহলে আমসু ভবিষ্যতে বৃহত্তর আন্দােলনের ডাক দিতে বাধ্য হবে।
0 comments: