দেবকিশোর চক্ৰবৰ্তী, কলকাতা :
রন কৌশল আগে থেকেই তৈরি করে রেখেছিলেন। একে দলত্যাগি, তার ওপর শাসক দলের এক সময়ের পয়লা নম্বর সংগঠক। ফলে বিজেপি নেতা ও কর্মীদের কাছে নিজেকে বিশ্বস্ত প্রমাণ করার ব্যাপার ছিল। একই সঙ্গে ছিল সদ্য ছেড়ে আসা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমোকে চাপে ফেলা। তাই প্রথম দিনেই খানিকটা হলেও রক্তচাপ বাড়ানোর কৌশল নিলেন তিনি। নিশানা করলেন তৃণমূল কংগ্রেস ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
শুক্রবারই ছিল
দলবদলের পর বিজেপিতে মুকুলের প্রথম জনসভা। রানি রাসমনির মঞ্চ থেকে তৃণমূল ছাড়ার কারণ তুলে ধরলেন মুকুল রায়। এদিন তিনি বলেছেন, তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে ভয় দেখান হচ্ছে। শনিবার সকালেও তাঁর গলায় ছিল সেই একই সুর।
আজ তিনি 'সংবাদ প্রহরী'কে বলেন, ‘তৃণমূলের স্লোগান দিয়েছিল বদলা নয় বদল চাই৷ এখন তো বাংলার মানুষ দেখছেন বিরোধীদের কথাই বলতে দেওয়া হয় না ৷ প্রতিবাদ করলেই এখন
পুলিশ-গোয়েন্দা লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷' আগের দিনই ভরা সমাবেশ মঞ্চে বলেছে, এখন এমন অবস্থা বাম আমলের থেকেও খারাপ৷ বদলে গেছে তৃণমূলও৷ কৃষি শিল্পের সম্পর্ক হাসি আর খুশির মতো৷ শনিবার সেই সূত্র ধরে বলেন, এই সেদিনো
ওদের স্লোগান ছিল এখানে কৃষি ও শিল্প হল হাসি আর খুশি। এখন তো দেখি সব উধাও৷ কৃষিতে সংকট, শিল্পে বিনিয়োগ নেই৷ প্রাক্তন এক মুখ্যমন্ত্রী প্রতি বছর লন্ডন যেতেন৷ বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীও বারবার লন্ডন যান৷ আগের মতো এখনও বিনিয়োগ আসে না৷’ মুকুল রায় আজ প্রত্যয়ের সঙ্গে বলেন, বাংলায় এবার বিজেপি-ই আসছে। এ রাজ্যে তূণমূল কংগ্রেসের বিকল্প বিজেপি। আর কোনো দল নেহ।
0 comments: