শিলচর : বরাক উপত্যকার ‘লাইফ লাইন’ শিলচরের কুম্ভীৰরগ্ৰাম বিমান বন্দর এবং মনিপুরের সঙ্গে একমাত্ৰ যোগাযোগের মাধ্যম বরাক নদীর ওপর সদরঘাট সেতুপ প্ৰায় ৭৫ বছরের পুরনো৷ তার ব্যবহারের সময়সীমা কবেই উত্তীৰ্ণ হয়ে গেছে৷ ভাঙা-চুরা জীৰ্ণ সেতু নমামি বরাক উৎসবের সময় মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সোনোয়াল ঘোষণা করেছিলেন, বরাক নদীর ওপর আরও তিনটি সেতু নিৰ্মাণ করা হবে৷
বৰ্তমান জরাজীৰ্ণ সেতু সম্পৰ্কে শিলচরের বিধায়ক তথা বিধানসভার উপাধ্যক্ষ দিলীপ পাল জানান, বৰ্তমান সেতুটি সংস্কার করা হচ্ছে৷ পাশা-পাশি নতুন সেতু নিৰ্মাণের কাজ চলছে৷
শিলচরের সদরঘাট সেতুর অবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে বলে যাতায়াতে বাড়ছে আশঙ্কা ও ঝুঁকি। অভিযোগ, সেতু সংস্কারের কাজ শম্ভুক গতিতে চলায় নিত্য যাত্রীদের যাতায়াত করতে হচ্ছে প্রাণ হাতে নিয়ে৷ রাজ্যের অন্যান্য জেলায় যখন গড়ে উঠছে একের পর এক সেতু। তখন বরাকে কেন বিলম্ব। সরকারি দলিল মতে, সদরঘাটের পূর্বতন সেতুর মেয়াদ অনেক আগেই উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। প্রতিদিনের যাতায়াতের তুলনায় অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে৷ তা নিরাপদ যাতায়াত পরিষেবার কথা ভেবে এর পাশেই চলছে প্রস্তাবিত বিকল্প নতুন সেতু নির্মাণের কাজ।
২০১৫ সাল থেকে চলছে এর নির্মাণ কার্য। তা-ও সম্পন্ন হয়নি পঞ্চাশ শতাংশ। ২০১৮-এর মধ্যেই সেতুটির কাজ সম্পন্নের দাবি তুলেছেন শিলচরের নাগরিকরা। এছাড়া কাছাড় জেলায় আরও দুটি প্রস্তাবিত সেতু অর্ধসমাপ্ত অবস্থায়, বন্ধ রয়েছে কাজ। বরাকের উন্নয়নে বাধাগ্রস্ত বেহাল যোগাযোগ ব্যবস্থা। এই কদিন আগে স্বীকার করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তা সত্ত্বেও কেন যোগাযোগ ব্যবস্থার বিকাশে প্রস্তাবিত একাধিক প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে সম্পন্ন হচ্ছে না, উঠেছে এমন প্রশ্নও। সরকারি প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন হচ্ছে না, থমকে পড়েছে উন্নয়ন।
কার সদিচ্ছার অভাবে বিকাশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বরাক। এ নিয়ে জোরদার সমালোচনা জনমহলে। সম্প্রতি দেখা গেছে, নমামি বরাক উৎসবকে কেন্দ্র করে পক্ষকালের মধ্যেই রাস্তা-ঘাটের বেহাল ছবি পাল্টে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এত বছর থেকে সেই সড়কগুলোর দরুন বছরের পর বছর ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে জনগণকে।
0 comments: