এন আর সি নিয়ে কলকাতায় জনসভা, তীব্ৰ ক্ৰিয়া-প্ৰতিক্ৰিয়া অসমে

গুয়াহাটি : জাতীয় নাগরিক পঞ্জী (এন আর সি) কে কেন্দ্ৰ করে এবং বাঙালি হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর প্ৰস্তাবিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে বরাক উপত্যকায় তীব্ৰ অসন্তোষ, ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে৷ ঠিক এই জটিল সময়েই বরাক উপত্যকাকে কেন্দ্ৰীয় শাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করার দাবীতে বরাকের একাংশ বুদ্ধিজীবী আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন৷ আগামী ১৬ জানুয়ারি ইউনিয়ন টেরিটরী ডিমান্ড কমিটি শিলচর শহরে প্ৰতিবাদী মিছিলের ডাক দিয়েছে৷ শিলচর প্ৰেস ক্লাবের সভাপতি শংকর দে জানান, এই মিছিল ডি সি অফিস পৰ্যন্ত গিয়ে ডিসির হাতে স্মারক পত্ৰ প্ৰদান করা হবে৷ আগামি ফেব্ৰয়ারি মাসে দিল্লীতে প্ৰধান মন্ত্ৰীর কাছে স্মারক পত্ৰ দেওয়া হবে৷ তিনি জানান, বরাকের বিশিষ্ট সমাজকৰ্মী প্ৰয়াত পরিতোষ পাল চৌধুরী ১৯৭০ সালে বরাকের স্বাৰ্থে ইউনিয়ন টেরিটরী ডিমান্ড কমিটি গঠন করেছিলেন৷ এন আর সি চূড়ান্ত তালিকায় বরাকের লক্ষ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়বে৷ ১৯৭১ সালের পরও বহু মানুষ এসেছে৷ কিন্তু তাদের অধিকাংশের হাতে বৈধ নথিপত্ৰ নেই৷ তাদেরকে ভয়ঙ্কর বিপদের মুখে পড়তে হবে৷ এই জটিল সময়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্ৰী মমতা ব্যানাৰ্জি অসমের বাঙালিদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন৷ রাজ্যের অধিকাংশ জাতীয়তাবাদী সংগঠনের পাশাপাশি কমল চোধুরী নেতৃত্বাধীন সাড়া অসম বাঙালি যুব ছাত্ৰ ফেডারেশন, এআইইউডিএফ, অগপ, বিজেপি প্ৰভৃতি সংগঠন মমতার বক্তব্যের তীব্ৰ বিরোধিতা করেছেন৷ অসম প্ৰদেশ কংগ্ৰেসও তার বিরোধিতা করেছে৷ কিন্তু বরাক কংগ্ৰেস পুরোপুরিভাবে মমতার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন৷ শিলচরের সাংসদ সুস্মিতা দেব তো পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্ৰীর প্ৰশংসা করে তাদের পাশে দাঁড়াবার আৰ্জি জানিয়েছেন৷ কলকাতায় এন আর সি নিয়ে সভা ডাকাকে রাজ্যের বুদ্ধিজীবীরা ভালো চোখে দেখছেন না৷ কলকাতায় অনুষ্ঠিতব্য সভায় মুখ্য বক্তা হিসেবে থাকছেন, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্ৰাপ্ত উপাচাৰ্য তপোধীর ভট্টাচাৰ্য৷ এ নিয়ে অসমের বিভিন্ন মহলে তীব্ৰ ক্ৰিয়া-প্ৰতিক্ৰিয়ার সৃষ্টি হয়েছে৷ এদিকে এন আর সির সমন্বয়ক প্ৰতীক হাজেলা আবার বলেছেন, অসমের স্থায়ী বাসিন্দা, ভারতীয় নাগরিকের একজনের নামও বাদ পড়বে না৷ ভয় পাবার কিছু নেই৷ ইতিমধ্যে নথি-পত্ৰ পরীক্ষার কাজ শুরু করা হয়েছে৷আগামী ২৪ জানুয়ারির মধ্যে এই কাজ সম্পূৰ্ণ হবে বলে জানিয়েছেন৷ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্ৰী পুনরায় আলিপুৰ দুয়ারে অসমের এন আর সি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বলেছেন, শুধু বাঙালিদের নয়, বিহারীদেরও নাম বাদ যাবে৷ যাদের নাম বাদ পড়বে তাদেরকে পশ্চিমবঙ্গে আশ্ৰয় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন৷ এদিকে অসমের রাজ্যপাল জগদীশ মুখী হোজাই শহরে রীতিমতো সাংবাদিক সন্মেলন ডেকে বলেছেন, অসমের মতো সারা দেশেই এন আর সির কাজ করা উচিত৷ তিনি অসমকে বাংলাদেশিমুক্ত করার ডাক দিয়ে বলেছেন, অসম বাংলাদেশিদের মুশাফির খানা হতে পারে না৷

SHARE THIS

No. 1 Web Media in North-East India. Maintained and Published by Saiyad Bulbul Jamanur Hoque on behalf of Save Media Solution (A unit of SAVE).

0 comments: