অসম বিধানসভার বাজেট অধিবেশন : ডিজিটাল ব্যবস্থার ওপর জোর, হার্ড কপি নয়, দেওয়া হবে পেন ড্রাইভ

গুয়াহাটি : শীতকালীন অধিবেশনের বদলে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি অসম বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে। অসম বিধানসভার প্রধান সচিব মৃগেন্দ্ৰ কুমার ডেকা জানান, এবার বাজেট অধিবেশন ১ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলবে। এই প্রথম বিধানসভার ইতিহাসে ডিজিটাল ব্যবস্থা কায়েম হতে চলেছে। পুরোপুরি না হলেও আংশিকভাবে ডিজিটাল ব্যবস্থা থাকবে। অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা বাজেট পেশ করবেন এবং বাজেট পুস্তিকা থেকেই বাজেট ভাষণ দেবেন। কিন্তু হার্ড কপি বিতরণ করা হবে না। স্বল্প সংখ্যক হার্ড কপি সরকারী প্রয়োজনে ছাপা হবে। বিধানসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংবাদিক-অফিসার-বিধায়কদের একটি করে পেনড্রাইভ দেওয়া হবে। সেই পেনড্রাইভ থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তাদের কম্পিউটার থেকে সরকারের কাজ-কর্ম, বিবৃতি পড়ে নিতে পারবেন। অসম বিধানসভার অধ্যক্ষ হিতেন্দ্ৰ নাথ গোস্বামী কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্ৰ মোদীর ডিজিটাল ইন্ডিয়ার স্বপ্নকে সাকার করার লক্ষ্যে এই প্রথম বিধানসভায় ডিজিটাল ব্যবস্থা কায়েম করতে চলেছেন। 
কংগ্রেস এবং এআইইউডিএফ এই বিরোধী দল দুটি আসন্ন বিধানসভায় এন আর সি জটিলতাকে তুলে ধরে বিধানসভা উত্তপ্ত করতে চাইবেন। জিএসটি, বিমুদ্রাকরণ ইসুতেও বিধানসভা উত্তপ্ত হবে। নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্য সামগ্রীর আকাশ সমান মূল্যবৃদ্ধি, এল পি জি, ডিজেল, পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি, জীবনদায়ী ঔষুধ থেকে সব ধরণের ঔষুধের মূল্যবৃদ্ধি, ব্যাংকের সুদ হ্রাস প্রভৃতি ক্ষেত্রে আম জনতার নাভিশ্বাস উঠছে। এই পরিস্থিতির বিধানসভার বাজেট অধিবেশন সরকারকে নানাভাবে নাজেহাল করবে বলে বিরোধী দলের পক্ষে থেকে আভাস পাওয়া গেছে। 
অসম বিধানসভার প্রধান সচিব ডেকা বলেন, অন্যান্য ইস্যুর কথা জানি না। তবে এন আর সির কাজ সুপ্রিম কোর্টে তত্বাবধানে হচ্ছে। তা বিচারধীন বিষয়। তা নিয়ে বিধানসভায় যথেষ্ট আলোচনা করার সম্ভাবনা থাকবে না। কারণ স্পর্শকাতর। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হলে বিধানসভার বিরুদ্ধে বিশেষাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ উত্থাপিত হতে পারে। তিনি জানান, এবার বিধানসভায় বেশ কিছু বিল উত্থাপনের সম্ভাবনা আছে। অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা রাজ্যের মানুষদের আর্থিকভাবে স্বস্তি দেওয়ার জন্য বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কর্মসূচী ঘোষণা করবেন। জি এস টি ঘোষিত হলেও অধিকাংশ সামগ্ৰীর মূল্য হ্রাস তো হয়ইনি, বরঞ্চ মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বিষয়টি কিভাবে জনমুখী করা যায়, সেই ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী নতুন পথের সন্ধান দেবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। 
এদিকে সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে। পশ্চিম বঙ্গের তৃণমূল সরকার কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে টেক্কা দেওয়ার জন্যেই ঐ দিনই বাজেট অধিবেশনের ডাক দিয়ে সাংবিধানিক জটিলতার সৃষ্টি করতে চাইছে বলে বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে।

SHARE THIS

No. 1 Web Media in North-East India. Maintained and Published by Saiyad Bulbul Jamanur Hoque on behalf of Save Media Solution (A unit of SAVE).

0 comments: