মেঘালয়, ত্ৰিপুরা দখলের স্বপ্ন নিয়ে তিন দিনের নির্বাচনী সফরসূচিতে বিজেপি সভাপতি অমিত শ্বাহ

# ক্ষমতায় এলে মডেল রাজ্য হবে মেঘালয় : অমিত শ্বাহ 

# শয়তানের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে আরএসএস : মুকুল সাংমা 

শিলং : ক্ষমতায় এলে মডেল রাজ্য হবে মেঘালয়। শনিবার মেঘালয়ের নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন শাহ। ওই ভাষণেই এমন মন্তব্য করেন তিনি। অমিত শাহ এদিন সরাসরি আক্রমণ করেছেন মুকুল সাংমা নেতৃত্বাধীন মেঘালয় সরকারকে। মেঘালয় সরকার যে কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ করা অর্থ জনগণের মাঝে পৌছে না দিয়ে লুটেপুটে খেয়ে নিচ্ছে তা শোনান তিনি। এর প্রেক্ষিতেই তার মন্তব্য, ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে আপাদমস্তক দুৰ্নীতিতে নিমজ্জিত মুকুল সাংমা নেতৃত্বাধীন সরকারকে এবার আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করবেন মেঘালয়ের জনগণ। মেঘালয় ও ত্রিপুরায় তিন দিনের নির্বাচনী সফরসূচি নিয়ে শনিবারই পৌঁছেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি অমিত শাহ। 
শিলঙে দলীয় কার্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেই তিনি চলে যান গারো পার্বত্য জেলায়। সেখানে এক জনসভায় চাচাছোলা ভাষায় সরকারকে আক্রমণ করেন অমিত। নির্বাচনের আগেই বিজেপি ঘর ভাঙানো শুরু করেছে কংগ্রেসের। শাসক দলের সঙ্গ ছেড়ে ইতিমধ্যেই পাঁচ বিধায়ক যোগ দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটে। বিশেষ করে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সঙ্গে জোট করেই এবার মেঘালয়ের রণকৌশল তৈরি করেছে গেরুয়া দল। প্রয়াত প্রাক্তন লোকসভা অধ্যক্ষ পি এ সাংমার ছেলের নেতৃত্বেই চলছে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)। কংগ্রেস থেকে এবং বিধানসভা পদত্যাগ করে পাঁচ প্রাক্তন বিধায়ক যোগ দিয়েছেন সাংমার দলেই। 
এদিকে, উত্তর-পূর্বাঞ্চল সফরের আগে শুক্রবার মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দিরের পাশে মাধব সেবা নিবাস ভবনে রাষ্ট্ৰীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে এক ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন অমিত শাহ। ওই বৈঠকেই ঠিক হয়েছে। মেঘালয় ও ত্রিপুরার নির্বাচনের রণকৌশল। এছাড়াও গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশে জয়ের পর সংঘ প্রধানের সঙ্গে শুক্রবারই প্রথম দেখা করেন অমিত। সেখান থেকে বেরিয়েই শনিবার তিনি ভোট প্রচার শুরু করেছেন মেঘালয় থেকে। 
অন্যদিকে, অমিত শাহর সফরের পরপরই মুখ খুলেছেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা। মুখ্যমন্ত্রী সংঘকে তিনি বলেন, "শয়তানের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে আরএসএস। আরএসএস বিভাজনের রাজনীতি আনতে চাইছে মেঘালয়ে। আরএসএসের অঙ্গুলি হেলনে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই। ইতিমধ্যেই আরএসএসের নির্দেশে গারো পাহাড়ে বিভাজনের খেলা শুরু করেছে বিজেপি। গারোদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পরম্পরা যে পৃথক সে কথা বোঝানো হচ্ছে জোর গলায়। কিন্তু গারোরা কতটুকু পছন্দ করবে। রাষ্ট্ৰীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে ? কেন না গারো ও খাসিরা পুরোপুরি আমিষভোজী। কিন্তু বিজেপি ও সংঘ যেভাবে খাদ্যাভ্যাস নিয়ে নিজেদের স্পর্শকাতর মনোভাব অটুট রেখেছে এবং আমিষভোজীদের সহ্য করতে পারছে না তা ক'দিন মানবে জনগণ? আমরা উপজাতি। আমরা সব কিছুই খাই। অন্যের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে যাদের এত ছুৎমার্গ তাদের সঙ্গে কোনওভাবেই খাপ খাবে না আমাদের।” এ দিন সাংমা বিদ্ধ করেছেন ইনার লাইন পারমিট নিয়েও কেন্দ্রের অনড় মনোভাবের বিষয়ে ইনার লাইন পারমিট চালু হলে প্রথমেই যে সংঘের প্রচারকদের আটকানো হবে তা শুনিয়েছেন তিনি। সংঘই যে মেঘালয়ে বিভাজনের রাজনীতি আমদানি করছে তা শোনান মুকুল। এদিকে, দুদিনের সফরসূচি নিয়ে রবিবার ত্রিপুরা যাচ্ছেন অমিত শাহ। ত্রিপুরার সিপিএম নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করতেই এ বার মরিয়া গেরুয়া ব্রিগেড। এর মহড়া কেমন করে হবে তা ঠিক করতেই ত্রিপুরা সফর অমিতের।

SHARE THIS

No. 1 Web Media in North-East India. Maintained and Published by Saiyad Bulbul Jamanur Hoque on behalf of Save Media Solution (A unit of SAVE).

0 comments: