গুয়াহাটি : নাগা চুক্তি নিয়ে রাজ্যবাসীর মধ্যে এক অজানা আশংকা ছিলই, শিবসাগর, গোলাঘাট প্রভৃতি জেলা বৃহত্তর নাগালিমের মধ্যে অন্তৰ্ভুক্ত হবে। সেই আশংকা একেবারে অমূলক নয়। শুক্রবার স্থানীয় এক টিভি চ্যানেলের হাতে পড়া এই গোপন চুক্তির খসড়ার একাংশ থেকে জানা যাচ্ছে উত্তর কাছাড় পার্বত্য জেলা বর্তমান ডিমা হাসাও জেলাকে অন্তৰ্ভুক্ত করা হবে বৃহত্তম নাগালিমের মধ্যে। নাগাল্যাণ্ড সীমান্তবর্তী পার্বত্য জেলা ডিমা হাসাও জেলার নাগা অধ্যুষিত এলাকাকে নিয়ে নাগা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে। তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ৫০০ কোটি টাকার অনুদান দেবে। ১০ বছর পর্যন্ত এই অনুদান মঞ্জুর করা হবে।
অন্যদিকে অরুণাচল প্রদেশের টিরাপ, চাংলাং, মনিপুরের সাতটি নাগা অধ্যুষিত এলাকাকে নিয়ে নাগা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে। নাগাল্যাণ্ড বিধানসভার ৬০ টি আসনের জায়গায় ১০ টি বৃদ্ধি করে ৭০ টি করা হবে। নাগা চুক্তি খসড়া অনুযায়ী নাগা রেজিমেন্ট গঠন করা হবে। নাগা উগ্ৰপন্থী সদস্যদের নিযুক্ত করা হবে। নাগা রেজিমেন্ট, নাগা আর্ম পুলিশে। যারা এই চাকরি নিতে রাজি হবে না। তাদের এককালীন ১০ লক্ষ টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে, আত্মসমৰ্পন করা প্ৰতিজন জঙ্গী সংগঠনের সদস্যদের ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।
নাগা অধূষিত সীমান্ত জেলাগুলিকে নিয়ে ‘ফ্রণ্টিয়ার নাগাল্যান্ড' নামে কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল হিসেবে গণ্য করা হবে। মন, টুয়েনসাং, লংলেং, কিফিরে এবং নকলা জেলাকে নিয়ে এই কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল গঠন করা হবে। নাগাল্যান্ডের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ১ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ দেবে ১০ বছরের জন্য। পুনরায় আরম্ভ করা হবে ডিমাপুরের চিনি কল, তুলির কাগজ কল, ওয়াজের সিমেন্ট কারখানা। স্বাস্থ্য-শিক্ষা প্রভৃতি ক্ষেত্রে পরিকাঠামো উন্নয়নের বিশেষ জোর দেওয়া হবে। এন এস সি এনসহ বিভিন্ন উগ্রপহীদের তাদের হাতে থাকা অস্ত্ৰ-শস্ত্র জমা দিতে হবে। নাগা উগ্ৰপন্থী নেতাদের যোগত্য অনুযায়ী করা হবে রাজ্যপাল, রাষ্ট্রদূত এবং সেনা-বাহিনীর পদস্থ অফিসার।
0 comments: