কংগ্রেস সরকারের তুলনায় বিজেপি সরকার ব্যয় করছে বেশি টাকা : হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা

গুয়াহাটি : শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশৰ্মা নর্থ-ইষ্ট ডেমক্রেটিক আ্যলায়েন্সে (নাডা)র চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই রাজ্যের স্বার্থ সংক্রান্ত ব্যাপার ছেড়ে উত্তর-পূর্বঞ্চলের তিন রাজ্যের নির্বাচন নিয়েই বেশি মনােনিবেশ করছেন। চলিত বিধানসভায় গুরুত্বপূর্ণ তিন বিভাগের সব প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন সংসদীয় পরিক্রমা মন্ত্ৰী তথা শিল্প-বাণিজ্য ও পরিবহন মন্ত্রী চন্দ্রমােহন পাটোয়ারি। কোনও প্রশ্নেরই যথাযথ জবাব দিতে পারছেন না। বিরােধীরা বার বার চেপে ধরছেন। এআইউডিএফের বিধায়ক আমিনুল ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে পাটোয়ারি লিখিতভাবে জানান— রাজ্য বাজেট বরাদ্দের প্রায় অর্ধেক টাকাও এখনাে ব্যায় করা যায়নি। হাতে আর মাত্র দের মাস সময় আছে। বৰ্তমান অর্থ বছর শেষ হবে। এই প্রশ্নের জবাব শুনে রাজ্যজুড়ে সরকার বিরােধী বিশেষ করে অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার বিরুদ্ধে অভিযােগ উত্থাপিত হচ্ছে। হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মার ত্রিপুরার নির্বাচন নিয়ে এতটায় ব্যস্ত, কংগ্রেসের আব্দুল খালেক থেকে শুরু করে অধিকাংশ বিরােধী বিধায়ক অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, হিমন্তকে সরিয়ে চন্দ্রমােহন পাটোয়ারিকে ডেপুটি চীফ মিনিষ্টার বানিয়ে দেওয়া উচিত। সেইসব সমালােচনা হজম করতে না পেরে হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা আজ ত্রিপুরা থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করে দাবি করেছেন, বিগত কংগ্রেস আমলের থেকে বিজেপি সরকার অনেক বেশি টাকা ব্যয় করেছে। বিগত কংগ্রেস সরকার ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে ১০ মাসে ৩০,৬০৩ কোটি টাকা ব্যয় করেছিল। এদিকে ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে বর্তমান বিজেপি সরকার ব্যয় করেছে ৩৯,৪২৮ কোটি টাকা। একইভাবে ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ব্যয় করেছে ৪২,৯৩৪ কোটি টাকা। বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট এক নিয়ম নীতি আছে। এর সঙ্গে কয়েকটি উপাদানও জড়িয়ে আছে। সরল অঙ্ক নয়। অফিসার-কর্মচারিদের প্রতিটি পদের বিপরীতে ১০০ শতাংশ ব্যয় বরাদ্দ নির্দিষ্ট থাকে। কিন্তু অনেক পদ খালি থাকায় সব টাকা ব্যয় করা যায় না। কেন্দ্রীয় সরকার মার্চের মধ্যে সব টাকা রিলিজ করে দেয়। কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ করা সব টাকা ব্যয় করার পরই রাজ্য সরকার তাদের বরাদ্দের অংশ ব্যয় করতে হয়। তাই এই নিয়ম নীতির মধ্যে সরকারকে চলতে হচ্ছে এবং সরকার তার বাজেট বরাদ্দর ক্ষেত্রে কোনও কৃপণতা করেনি। বরঞ্চ বিগত সরকারের থেকে অনেক বেশি টাকা ব্যয় করেছে। তাই অভিযােগের কোনও সারবত্তা নেই।

SHARE THIS

No. 1 Web Media in North-East India. Maintained and Published by Saiyad Bulbul Jamanur Hoque on behalf of Save Media Solution (A unit of SAVE).

0 comments: