- সুমন সেনগুপ্ত
কেন্দ্রীয় সরকারের ‘আধার’ সংযুক্তিকরণ নিয়ে বাড়াবাড়ি সাধারণ মানুষকে যে বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে তার থেকে কোনও উদ্ধারে পথ আপাতত চোখে পড়ছে না। তবে পথের সন্ধান চলছে। প্রতিবাদও হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই সে খবর পাওয়া যাচ্ছে। আধার আসলে বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে এক ফ্যাসিবাদী উপকরণ। দেশবাসীকে কব্জায় রাখার এক অমোঘ কৌশল। আধার নিয়ে জেরবার সাধারণ যে কী পরিমাণ উদ্বিগ্ন তার খবর আমরা প্রতিদিন পাচ্ছি। আধারকে আমরা কেন বলব ফ্যালিবাদী চক্রান্ত? তারই জবাব খোঁজা হয়েছে এখানে।
আধার কি ?
আধার শব্দের অর্থ ধারণ করার পাত্র। আধার কার্ডের ওপর UIDAI (Unique Identification Authority of India) নিজেদের সম্পর্কে লিখেছে “আম আদমি কা অধিকার” বা সাধারণ মানুষের অধিকার। ২০১০ সালে মহারাষ্ট্রের এক গ্রামে সোনিয়া গান্ধী এবং মনমোহন সিংহের উপস্থিতিতে এই প্রকল্পটির উদ্ধোধন হয়। প্রথমে বলা হয়েছিল ভারতের বহু মানুষ সরকারী সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন, কারণ তাদের কোনও সঠিক পরিচয়পত্র নেই। সরকারী সুবিধা মানে ভরতুকী, পেনশন, ভাতা, মিডডে মিল, ইত্যাদি) পেতে গেলে যে পরিচয়পত্র লাগে তা অনেক মানুষেরই নেই। তাহলে সেই কাজটাই ভালোভাবে করা যেত, কিন্তু সেটা হোলো না, দেখা গেল UIDAI দু’ভাবে আধার নম্বর বা পরিচয়পত্র দিচ্ছে:
১। যার কাছে ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড বা অন্য পরিচয়পত্র আছে, সে সেগুলো দেখালে আধার নম্বর বা কার্ড পাচ্ছে।
২। নতুন করে পরিচয়পত্র তৈরি হচ্ছে।
কিন্তু ২০১৫ সালে একটি RTI থেকে জানা যায়, মাত্র ০.০৩% নতুন আধার নম্বর তৈরি হয়েছে, তা হলে ২০১০ সালে যে বলা হয়েছিল আগের পরিচয়পত্রগুলোতে ভূল আছে সেটাই তো প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল। আরও একটা জরুরি বিষয় এই আধারের তথ্যগুলো কোনও সরকারি দপ্তর থেকে পরিক্ষা অবধি করানো হয়নি যাতে বোঝা যায় যে এই তথ্য সঠিক।
এই ভাবে মানুষকে চিহ্ণিত করার প্রক্রিয়া আজ প্রায় শেষের মুখে, আপনার নাম ঠিকানা, বয়স ইত্যাদি সমস্ত তথ্য আজ কিছু লোকের হাতের মুঠোয়। এই কিছু লোক মানে কিন্তু শুধু UIDAI নয়, যেখানে বা যার কাছে আপনি আধার কার্ড করেছেন তাদের কাছেও রয়ে গেছে। যেটা সে বিক্রিও করে দিতে পারে।
আধার তথ্য যদি ফাঁস হয় :
১৯৩৩ সালে জার্মানিতে প্রথম নাগরিকদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়। আইবিএম কাজটা শুরু করে। সম্ভবত নাৎসি বাহিনী বুঝেছিল, কিছু কিছু তথ্য হাতে থাকলে তার সাহায্যে ইহুদিদের চিহ্নিত করে ফেলা যাবে। ইহুদিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্যই এই ব্যবস্থা। ইহুদীদের নাম, গোত্র, ঠিকানা, কর্মস্থল, পেশা, বাসস্থান, সম্পত্তি সমস্ত কিছু সংগৃহীত হয়েছিল বহু বছর ধরে, চাহিদা মতো তা পাঠিয়ে দেওয়া হতো নাৎসি বাহিনীর হাতে। তারপরটা তো ইতিহাস। সেই মেশিন যার সাহায্যে এই তথ্য সংগৃহীত হয়েছিল তার নাম হলেরিথ মেশিন, যা আজও সংরক্ষিত আছে আমেরিকার হলকাস্ট মিউজিয়ামে। কিভাবে এই মেশিনের সাহায্যে হল্যান্ড, ফ্রান্সে ইহুদিদের সম্পত্তি দখল করা হয়েছে তা সহজেই অনুমেয়। আফ্রিকার রুয়ান্ডাতে ১৯৯৩ সালে যে ব্যাপক গণহত্যা হয়েছিল তাও এরকমই সংগৃহীত তথ্যের সাহায্যে। গুজরাটে যে গণহত্যা চালানো হয়েছিল তাও আজ পরিষ্কার যে গুজরাট তার নিজস্ব তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করেছিল। চিহ্নিত করা হয়েছিল মুসলিমদের অঞ্চল, বাসস্থান, তারপর বেছে বেছে মারা হয়েছিল। সুতরাং আধার নম্বর এবং আপনার তথ্য যদি কারও কাছে থাকে, কি ভয়ংকর বিপদের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে, সেটা নিশ্চয় বোঝা যাচ্ছে।
তাছাড়া, আপনার তথ্য যদি অন্যের কাছে পৌঁছে যায় বা চুরি হয়ে যায় তাহলে কি হতে পারে? ধরা যাক, আপনার আধার নম্বর আপনি ব্যাঙ্ক অ্যকাউন্ট বা মোবাইল নম্বরে যুক্ত করেছেন, সেই আধার নম্বরটি ওদের কাছে আছে, সেটা দিয়ে আপনার অজান্তে আরও মোবাইল সিম পাওয়া সম্ভব। এমনকী ব্যাঙ্ক আকাউন্টও খোলা সম্ভব।
কম্পিউটারে বসে ইন্টারনেট ব্যাংকিঙের সাহায্যে এই কাজ করা এতটাই সহজ যে গত পাঁচ বছরে এ দেশে বেনামি বা ভুয়ো অ্যাকাউণ্ট দ্বিগুণ হয়েছে। এই বেনামি অ্যাকাউণ্টের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা পাচার করা যায়। তাতে ফাঁসবেন আপনি। কারণ আপনার আধার নম্বরটি প্রথম যে অ্যাকাউণ্টের সঙ্গে যুক্ত সেটিকেই ধরা হবে। তখন আপনি হবেন কালো টাকার কারবারি।
আপনার যেকোনো ন্যায্য পাওনা সরকারি সুবিধা চলে যাবে ওই বেনামি অ্যাকাউণ্টে। আপনি কি করবেন? পুলিশের কাছে যেতে পারবেন না। আপনি চিহ্ণিত হয়ে যাবেন কালো টাকার কারবারি হিসেবে। বা আপনার টাকা অন্য জায়গায় চলে যাবে। আপনি শুধুমাত্র একটা নম্বর হিসেবে থেকে যাবেন।
আধার একটি চক্রান্ত :
প্রথমত UIDAI কোনও সরকারি সংস্থা নয়। এটি একটি বেসরকারি কোম্পানি, যার সঙ্গে ভারত সরকারের কোনও যোগ নেই, যদি থাকতো তাহলে আধার কার্ডে সরকারি কোনও আধিকারিকের সই নেই কেন? প্যান (PAN) কার্ড বা ভোটার কার্ডে যেমন থাকে।
দ্বিতীয়ত UIDAI-কে যদি প্রশ্ন করা হয়, কোনও মানুষ কি আধার না করে থাকতে পারবেন? তারা উত্তর দেবে হ্যাঁ পারবে। কারণ আধার কেবল কিছু পরিষেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। কেই যদি আধার ব্যবহার করতে না চায় তাহলেও কিছু নয়। কারণ আইনত বাধ্যতামূলক নয়।
তাহলে আধার কেন ?
পৃথিবীর বৃহৎ কিছু কোম্পানি মানুষকে রোবট হিসেবে দেখতে চায়। তাদের ইচ্ছে মতো নিয়ন্ত্রণ করা যাবে স্রেফ কিছু তথ্যের মাধ্যমে। বুঝলেন না তো? ধরুন আপনি ফেসবুক করেন। তার মধ্যে দিয়ে আপনি কি পছন্দ করেন সেটা বহু মানুষ যেমন বুঝতে পারে, তেমন ফেসবুকের মালিক জুকেরবারগও বুঝতে পারেম, আপনি অনলাইনে কি কিনছেন। কিংবা অ্যামাজন থেকে বা গুগলে কি খুঁজছেন সেটা যদি বোঝা যায় তাহলে আপনাকে বা আমাকে সেদিকে চালনা করা আরও সহজ হয়ে যায়। এর প্রমাণও আছে, আপনি কোনোদিন ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেখে কিছু একটা পণ্য কয়েকবার দেখলেন, পরদিন থেকে সেগুলোর আরও বেশী করে বিজ্ঞাপন আসতে থাকে। ওই কোম্পানিগুলো চায় আমি আপনি ওদের হাতের পুতুল হয়ে উঠুন। সেই জন্যই মোদী সরকার চাইছে সমস্ত কিছুর সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণ করতে। যাতে সমস্ত তথ্য এই বড় কোম্পানিগুলোর হাতে চলে যায়। যার মাধ্যমে আমাকে আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করা আরও সহজ হয়ে যাবে।
মোদী সরকারের প্রয়োজন একটা পুলিশি রাষ্ট্র, যা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করবে, যার মাধ্যমে মাত্র ১ শতাংশ মানুষ নিয়ন্ত্রণ করবে সেই মানুষরুপী বিপুল সংখ্যক রোবটদের। এবং ধীরে ধীরে আমরা কৃতদাসে পরিণত হবো, এবং আমাদের নিজেদেরও কোনও সরকার থাকবে না, থাকবে একটা বাছাই করা শক্তি যার মাধ্যমে এই কাজটা করা হবে। যদি আধারযুক্ত ভোট দেওয়ার যন্ত্র চালু করা যায় তাহলে তাহলে সহজেই বোঝা যাবে আপনি কাকে দিতে পারেন বা কাকে ভোট দিলেন। আবার আপনাকে ভোট ব্যবস্থা থেকে বাতিল করে দেওয়াও তাদের পক্ষে সহজ হবে। আপনি তো এখন শুধু একটা সংখ্যা মাত্র। আপনাকে মুছে ফেলা তো একটা ছোট্ট কাজ।
তৃতীয়ত কেন এই ব্যঙ্ক, মোবাইল, বিমা কিম্বা সমস্ত বেসরকারি কোম্পানিগুলো আধার সংযুক্তিকরণের জন্য এই রকম চাপ সৃষ্টি করছে? কারন UIDAI -এর সঙ্গে এই কোম্পানিগুলোর বহু টাকার চুক্তি হয়েছে, যার জন্য এরা এটা করতে বাধ্য। যদিও সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন রায় বলছে, আধার সংযুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক নয়, সম্পূর্ণ স্বেচ্ছামূলক। তারপরেও ওই সংস্থাগুলো বলছে আধার সংযুক্তিকরণ না করলে সমস্ত পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে। আপনি কি কখনো খেয়াল করেছেন যে আপনি যখন কোথাও আধার সংযুক্তিকরণ করেন সেখানে কি লেখা থাকে? লেখা থাকে, আপনি এটা স্বেচ্ছায় দিচ্ছেন। তাই UIDAI কতৃপক্ষ সুপ্রিমকোর্টে গিয়ে যখন হলফনামা দেন তখন আমি বা আপনি মিথ্যাবাদী প্রমাণিত হই, তখন কিন্তু বলা হয় না আপনাকে কিভাবে বাধ্য করা হল।
বাদ দেওয়ার উপকরণ :
প্রথম যখন আধার এর কথা ভাবা হয়েছিল তখন বলা হয়েছিল যে একশো হিনের কাজ, পেনশন, রেশন, মিড ডে মিল দেও?আর ক্ষেত্রে প্রচুর দুর্নীতি হচ্ছে। দুর্নীতিমুক্ত ভারত গড়তে হবে। বিভিন্ন সময়ে দেখা গেছে কোনও একটি সরকারি পরিষেবা পেতে গেলে যে পরিচয়পত্র থাকা দরকার, তা নেই। কেউ ভুল বা মিথ্যা তথ্য পেশ করে বেশী পরিমাণ জিনিস নিয়ে নিচ্ছে, তার ফলে যার পাওয়ার কথা সে বঞ্চিত হচ্ছে।
রেশন দোকানে বেশী লিখিয়ে কম জিনিস দেওয়া চালু দুর্নীতি, কিমবা মীডডেমিলের গুণগত মান কম করে বেশী বাচ্চাকে খাওয়ানো আরেক ধরণের দুর্নীতি। ১০০ দিনের কাজে বেশী লোক দেখানো এক ধরনের দুর্নীতি। এগুলো ঠেকানোর নামে যা শুরু হয়েছে সেটাকে এক কথায় বলা যায় “সন্ত্রাস”। এই সব দুর্নীতি রোধ করার কোনও চেষ্টাই নেই।
আবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আধার যুক্ত করা হচ্ছে না হলে আপনি যাবতীয় সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন।
বাস্তবে কি হচ্ছে? বয়স্ক মানুষের হাতের ছাপ মিলছে না, বা অসুস্থ লোকের হাতের ছাপ আজ মিললে কাল মিলবে না, এটা বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত। এর ফলে বেশ কিছু মানুষকে বাদ দেওয়া যর প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানাতে ৯ কিমি দূরে পেনশনের জন্য হাতের ছাপ মেলাতে যেতে হচ্ছে, সেখানে আবার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হবার কারণে মানুষকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এভাবে সরকারের টাকা খরচ কমছে। তাই সরকার জানাচ্ছে, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর অবধি ৪০০ কোটি টাকা বাঁচানো গেছে। অর্থনীতিবিদ জাঁ ড্রেজের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, রাঁচি শহরে ১৬% মানুষ পেনশন পাচ্ছেন না কারণ তাঁদের হাতের ছাপ বা চোখের মণি মিলছে না। ১৪.৪% মানুষের চোখের মণি মিলছে না। ১৭.৭% হাতের ছাপ মিলছে না। তাহলে কি এরা সবাই ভুয়ো? সবাই মিথ্যাবাদী? নাকি এই ভাবে পেনশনভোগীদের বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে?
যাঁরা বাদ পড়ছেন :
আপাতত বাদ পড়ার তালিকার সিংহভাগ গ্রামীণ নিরক্ষর মহিলা এবং বয়স্ক মানুষেরা। এরপর এই তালিকায় যুক্ত হবেন শহরের বয়স্ক, মহিলারা। গ্রামের গরিব নিরক্ষর মহিলারা প্রথমেই আধারের শিকার হচ্ছেন। যাঁদের কম্পিউটার বিষয়ে কোনও ধারনা নেই, আধুনিক ফোন ব্যবহার করেন না বা করতে অভ্যস্ত নন, তাঁরাই সর্বাগ্রে এর কোপে পড়ছেন। ওই নিরিখে ৬৮% মহিলা আজও অশিক্ষিত, যাঁরা কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না বা করতে পারেন না। অথচ UIDAI বলছে, প্রবীন, বিধবা এবং প্রতিবন্ধীদের কাছে আধারের মাধ্যমে পেনশন বা অন্যান্য অনুদান পৌঁছে দেওয়া অপেক্ষাকৃত সহজ। তাহলে কোনটা বিশ্বাস করব, আধারের গণ্ডগোলে মানুষ প্রাপ্য রেশন বা পেনশন পাচ্ছেন না, নাকি UIDAI-এর বক্তব্য?
কয়েকটা উদাহরণ দেওয়া যাক:
১। “আশা দেবী গজু“ আধার কার্ডে নাম “আশা দেবী গ্নজু“। ২০১৬ সাল থেকে পেনশন পাচ্ছেন না, ব্যঙ্কের দরজায় ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত।
২। গাংগী টুটির আধার কার্ড নেই। কারন তাঁর গ্রামের সবাই যখন আধার কার্ড বানাচ্ছিল তখন তিনি অসুস্থ ছিলেন। ফলে তাঁর রেশন কার্ডের আধার যুক্ত হয়নি। ফলে ২০১৭ সালের গোড়া থেকে তাঁর রেশন বন্ধ।
৩। হরিয়ানার এক কুষ্ঠাশ্রমের রোগীদের কারও আঙ্গুল নেই। তাই তাঁদের আধার সংযুক্তিকরণ হয় নি। ফলে রেশন, পেনশন সবই বন্ধ।
৪। বালুরঘাটে মামনি নামে এক মহিলা সম্পূর্ণ বিকলাঙ্গ। বেঁচে আছেন ৬০০ টাকা প্রতিবন্ধী ভাতার উপর। কিন্তু তাঁর চোখের আইরিস মিলছে না বলে ভাতা বন্ধ করে দিয়েছে ব্যাঙ্ক।
দেখা গেছে যে মাত্র ১৬% মহিলা ব্যাঙ্কে টাকা তোলা বা জমা দেওয়ার মতো সাধারন কাজগুলো করতে পারেন। আর ৩ থেকে ৫% মহিলা নেটব্যাঙ্কিং-এর কাজ করতে সক্ষম।
বেশিরভাগ মহিলা আধার নিয়ে কোর্টের শেষ রায়টা জানেন না। তাঁদের জানানো হয় না।
আপনিই ঠিক করুন :
আধার গণতন্ত্র এবং মানুষের মৌলিক অধিকারের উপর একটি চূড়ান্ত আঘাত। সেটা আপনি মেনে নিয়ে নিজে একটি সংখ্যায় পরিণত হয়ে যাবেন কিনা সেটা আপনার সিদ্ধান্ত। নাকি সামিল হবেন রাস্তার লড়াইয়ে যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী এক ফ্যাসিস্ট কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু হয়েছে। সেটাও আপনাকেই ঠিক করতে হবে।
লেখক কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্তুকার এবং বিশিষ্ট সমাজকৰ্মী
0 comments: