মানুষের চেতনা জাগ্রত করার অতন্দ্র প্রহরী হিসাবে সাংবাদিকরা নিরলস ভাৱে কাজ করে যায়ঃ হৃষীকেশ গােস্বামী
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি :
সাংবাদিকরা আনুষ্ঠানিক ভাবে অবসর গ্রহণ করলেও প্রকৃতার্থে তাদের কলম কিন্তু থেমে থাকে। না, বয়স দিয়ে চেতনা ও মনকে পরিমাপ করা যায় না। মানুষের চেতনা জাগ্রত করার অতন্দ্র প্রহরী হিসাবে সংবাদ মাধ্যম নিরলস ভাৱে কাজ করে যায়।’অসম সরকার সর্ব প্রথম এ বছর থেকে ‘দ্য অসম পেনশন স্কীম’চালু করেছে। ২০১৭ সালের এই পেনশন স্কীমে প্রথম ২০জনকে পেনশন প্রদান করা হয়, মাসে ৮ হাজার টাকা করে পেনশন দেওয়া হবে। আগামী বছর থেকে ১০ জন করে সাংবাদিককে পেনশন দেওয়া হবে।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ের প্রেক্ষাগৃহে মুখ্যমন্ত্রীর মিডিয়া এ্যডভাইসর হৃষীকেশ গােস্বামী সাংবাদিকদের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন— সাংবাদিকরা অশেষ কষ্ট ভােগ করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্তব্য পালন করেন। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনােয়ালের নির্দেশ ক্রমে সাংবাদিকদের বিভিন্ন কল্যাণমূলক কর্মসূচী সরকার গ্রহণ করেছে। আগামী বাজেটে সাংবাদিকদের জন্য বীমা প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। সন্ত্রাসবাদীদের হাতে নিহত ৩২ জন সাংবাদিককে ৫ লক্ষ টাকা করে এককালীন সাহায্য প্রদান করা হয়। প্রতিবছর প্রজাতন্ত্র দিবসে একজন করে বিশিষ্ট সাংবাদিককে সন্মানিত করা হচ্ছে। গত প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রয়াত বিশিষ্ট সাংবাদিক রাধিকা মােহন ভাগবতীকে সম্মান জানানাে হয়।
এ বছর বিশিষ্ট সাংবাদিক কনকসেন ডেকাকে সম্মান জানানাে হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর মিডিয়া এ্যডভাইসর হৃষীকেশ গােস্বামী বলেন–মাত্র ৮ হাজার টাকার পেনশন সামান্য অর্থ, তবুও তা এক সন্মানের বিনম্র প্রয়াস মাত্র, ভবিষ্যতে তা বৃদ্ধির চেষ্টা হবে। ‘সাপ্তাহিক জনমভূমি’র প্রাক্তন সম্পাদক মনােরম বরুয়ার অসুস্থতার জন্য সরকার তাকে এককালীন অনুদান দেবেন বলে জানান। আজ ১৯জন সাংবাদিকের হাতে সরকারের অনুমােদন পত্র তুলে দেওয়া হয়, তারা হলেন কৃষ্ণ চন্দ্ৰ কলিতা, রমা শংকর রায়, অমল কুমার গুপ্ত, রত্নেশ্বর তালুকদার, দ্বিপেন দত্ত, ধরণী কলিতা, ভক্তি রায়, উদয়ন বিশ্বাস, গর্গ রাম বর্মণ, প্রবােধ চন্দ্ৰ বদলৈ, কেশব কলিতা, গীতাৰ্থ পাঠক, অজিত কুমার পাটোয়ারী, দেবেন্দ্র কুমার পাণ্ডে, গােবৰ্দ্ধন প্ৰসাদ অটল, প্রমােদ কুমার সিংহ, প্রকাশ কুমার ঝা, নিরুপমা বরা এবং পবিত্ৰ গগৈ। পেনশন পাওয়া বিনয় ভূষণ সেন অনুপস্থিত ছিলেন।
এই ভাবগম্ভীর অনুষ্ঠানে তথ্য ও জনসংযােগ বিভাগের সঞ্চালক রাজীব প্রকাশ বরুয়া সাংবাদিকদের বিভিন্ন কল্যাণমূলক কর্মসূচীর কথা উল্লেখ করে বলেন— সাংবাদিকদের চিকিৎসা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, এ পর্যন্ত ১১৮জন সাংবাদিককে ৬০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। মফঃস্বলের সাংবাদিকদেরও এ সুযােগ নেওয়ার জন্য তিনি আবেদন জানান। ক্যরত অবস্থায় মৃত্যু হওয়া সাংবাদিকদের জন্য ১ কোটি টাকার এক তহবিল গঠন করা হয়েছে। সাংবাদিকদের ফেলােশিপ দেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বছর ২০ জন সাংবাদিককে ৫০ হাজার টাকা করে ফেলােশিপ দেওয়া হবে। মফঃস্বলের সাংবাদিকদের বছরে বিভিন্ন রাজ্য সফরে ব্যৱস্থা করা হয়েছে। গুজরাট সফরের পর এ বার মধ্য প্রদেশে গ্রাম্য-সাংবাদিকদের শিক্ষামূলক সফরে পাঠানাে হয়। তথ্য ও জনসংযােগ বিভাগের সচিব মাধুরিমা বরুয়া সেন সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা শ্ৰদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তথ্য ও জনসংযােগ বিভাগের সব কর্মচারী এবং পদস্থ অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।
0 comments: