গুয়াহাটি : জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (এন আর সি) চুড়ান্ত খসড়া তালিকা প্রকাশের কাজ চলছে। মহিলাদের জন্য পঞ্চায়েত সচিবদের ইস্যু করা প্রমাণ পত্র এবং বংশবৃক্ষ পুনরীক্ষণের প্রক্রিয়ার কাজে ব্যাপক হারে নিয়ম বহিঃর্ভূত কাজ হচ্ছে। একাংশ অফিসার এন আর সির গাইডলাইন মানছে না, অৱমাননা করছে। শনিবার আমসু এবং অসম রাজ্যিক জমিয়তের এক প্রতিনিধি দল জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর রাজ্যিক সমন্বয়ক প্রতীক হাজেলার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গুরুতর এই অভিযােগ করেন।
আমসুর উপদেষ্টা আজিজুর রহমান অভিযােগ করেন, বিবাহিত মহিলাদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে সাক্ষ্যদান করা গরিব পরিবারগুলির পক্ষে সম্ভব হচ্ছেনা। বিবাহিত মহিলাদের আত্মীয়-স্বজনদের রক্তের সম্পর্কের মানুষদের সাক্ষ্য প্রমাণকে গ্রহণ করার দাবি জানান। আমসুর উপদেষ্টা আশংকা প্রকাশ করেন— সারা রাজ্যে লক্ষাধিক মহিলাদের নথি-পত্ৰকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে। প্রতিনিধি দলটি সমন্বয়ক প্রতীক হাজেলাকে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়ে বলেন— এন আর সির গাইড লাইন অবমাননা করা অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে বাধ্য হবে।
আমসু এবং জমিয়তের অসম রাজ্যিক সমিতি একই দাবিতে গত ১৬ এপ্রিল নয়া দিল্লীতে ভারতের রেজিষ্টার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার প্রধান শৈলেশ-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ৯ দফার দাবি সম্বলিত এক স্মারক পত্র দিয়ে পঞ্চায়েত নথি পরীক্ষা এবং বংশবৃক্ষ পুনরীক্ষনের নামে ব্যাপক হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযােগ তুলেছিলেন। প্রতীক হাজেলা আজ প্রতিনিধি দলটির কাছ থেকে স্মারক পত্র গ্রহণ করে বিবাহিত মহিলাদের হেনস্থা করার অভিযােগগুলি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন এবং গাইডলাইন অবমাননা করা অফিসারের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযােগগুলি সম্পর্কে ব্যবস্থা নেবেন।
প্রতিনিধি দলটির পক্ষে আমসুর উপদেষ্টা আজিজুর রহমানের সঙ্গে সভাপতি রেজাউল করিম সরকার, রাজ্যিক জমিয়তের সভাপতি মৌলানা সোস্কাক আহমদ আনফর, সাধাৰণ সম্পাদক মৌলানা আব্দুর রশিদ কাশিমী, আমসুর প্রাক্তন সভাপতি আব্দুর রহিম আহমেদ, আইনী উপদেষ্টা মােস্তাফা খাদ্দাম হােসেইন, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিল্লাতুল ইসলাম এবং তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক শাকিল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
0 comments: