১৭ জুন ১৯ টি ক্যানসাৰ হাসপাতাল ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবে রতন টাটাঃ হিমন্ত
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি :
অসম তথা উত্তরপূর্বাঞ্চল মারণ ৰােগ ক্যানসার প্রবণ অঞ্চল। রাজ্যের হাজার হাজার ক্যানসার রােগী চিকিৎসার জন্য বহিরাজ্যে পাড়ি দেন। রাজ্যবাসীর জন্য সুখবর আগামি দুবছরের মধ্যে রাজ্যে ১৯টি ক্যানসার হাস্পাতাল স্থাপিত হবে। আগামী ১৭ জুন টাটা গ্রুপের প্রধান রতন টাটা গুয়াহাটি থেকে ১৯টি ক্যানসার হাস্পাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। আজ সাংবাদিক সম্মেলনে স্বাস্থ্য মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই সুখবর দিয়ে জানান, টাটা ট্রাষ্টের সঙ্গে অসম সরকার যৌথ উদ্যোগে দুহাজার কোটি টাকার এক বৃহৎ চুক্তি রূপায়ণ করবে।
অসম ক্যানসার কেয়ার ফাউণ্ডেশন কোম্পানি নামে এক নব গঠিত কোম্পানি ১৯ টি ক্যানসার হাসপাতাল পরিচালনা করবে। তিনটি ক্যাটাগরিতে হাসপাতালগুলি স্থাপিত হবে। এল-ওয়ান ক্যাটাগরি হাস্পাতাল হবে গুয়াহাটিতে, সেখানে ক্যানসারের জটিল অবস্থার চিকিৎসা হবে। সার্জারি সহ সাধারণ ক্যানসার চিকিৎসার জন্য এল-টু ক্যাটাগরি হাসপাতাল হবে— বরপেটা, যােরহাট, শিলচর, ডিফু, তেজপুর, ধুবুরী,লক্ষিমপুর, নগাঁও এবং ডিব্ৰুগড়। সাধারণ ক্যানসার চিকিৎসার জন্য এল-থ্রি ক্যাটাগরির হাস্পাতাল হবে- কোকরাঝাড়, শিবসাগর,নলবাড়ি, করিমগঞ্জ, দরং, গােয়ালপাড়া, তিনসুকিয়া, গােলাঘাট এবং হাফলং। এই ১৯টি হাস্পাতালের শিলান্যাস হবে ১৭ জুন।
রাজ্যে আরও দুটি ডেন্টাল কলেজ স্থাপন করা হবে। ইতিমধ্যে ২০১৬-২০১৭ সালের বাজেটে ডিব্ৰুগড় এবং শিলচরে একটি করে ডেন্টাল কলেজ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত ১৪ মে আরও দুটি ডেন্টাল কলেজ স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ৫০টি করে আসনের ডেন্টাল কলেজ স্থাপিত হলে রাজ্যের বেকার যুবকরা ডাক্তারি পড়ার সুযােগ পাবেন। রাজ্যের ২০ লক্ষাধিক বেকার যুবকদের জন্য ভাল খবর দিলেন অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি ঘােষণা করেন, সরকারি চাকরি পাওয়াব বয়স ছিল ৩৮ বছর। তা বৃদ্ধি করে করা হয়েছে ৪৪ বছর।
শুধু তৃতীয়, চতুর্থ শ্রেণী নয়, সব শ্রেণীর ক্ষেত্রেই এই বয়স প্রযােজ্য হবে বলে মন্ত্রী জানান। কিন্তু পার্সোনেল বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে কেবল তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণীর ক্ষেত্রেই এই বয়স সীমা ৪৪ বছর। মন্ত্রী জানান, তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণীর চাকরির জন্য কোনও মাসুল লাগবেনা, ট্রেজারি চালান এবং অনলাইন আবেদন ফিজও লাগবেনা। প্রথম শ্রেণী এবং দ্বিতীয় শ্রেণী জন্য মাসুল দিতে হবে ২৫০ টাকা করে। ওবিসি, এসটি প্রভৃতির জন্য মাসুল ধার্য করা হয়েছে ১৫০ টাকা করে। চুক্তিভিত্তিক হাইস্কুলের শিক্ষকদের জন্য বেতন ১৫ হাজাৰ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। প্রায় ৭ হাজার শিক্ষক উপকৃত হবে। অর্থমন্ত্রী দাবি করেন, তাদের বাজেটে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হল। অটল অমৃত যােজনার মতাে দারিদ্র সীমা রেখার তলে বাস করা প্রায় ২৭ লক্ষ (৩২ শতাংশ) মানুষের জন্য আয়ুস্মান ভারত নামে নতুন এক স্বাস্থ্য প্রকল্প চালু করা হবে। যে কোনও রােগের চিকিৎসার জন্য ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা খরচ দেওয়া হবে, সেই টাকায় চিকিৎসা সম্ভব না হলে অটল অমৃত যােজনার জন্য নির্দিষ্ট বরাদ্দ ২লক্ষ টাকাও দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, অটল অমৃত যােজনায় রাজ্যের ১১২০ জন রােগী উপকৃত হয়েছে। এই চিকিৎসা খাতে ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ৪০ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা। সারা দেশের বড় বড় হাসপাতালে এই চিকিৎসা হয়েছে, চমকপ্রদ ক্যাসলেস’এই চিকিৎসা ব্যবস্থা দেশের মধ্যে উন্নতমান চিকিৎসা ব্যবস্থা। ১১২০ জন রােগীব মধ্যে ক্যানসার ৫৫৭ জন, ৩৬৫ জন কিড়নি চিকিৎসা গ্রহণ করে সুস্থ হয়েছেন। অটল অমৃত অভিযানে রাজ্যের দেড় কোটি মানুষ নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে। কার্ড বানিয়েছেন। এবছর ৩ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১০ কোটিতে দাঁড়িয়েছে।
0 comments: