মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী, উপমুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের জি পরমেশ্বর
ওয়েব সংবাদ : দশ দিনের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কাটিয়ে আস্থাভোটে জিতল জেডিএস–কংগ্রেস জোট। মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী, উপমুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের জি পরমেশ্বর। স্পিকার নির্বাচিত হলেন কংগ্রেসরই রমেশ কুমার। আস্থাভোটের আগেই স্পিকার পদে সর্বসম্মতিক্রমে কংগ্রেসের কে আর রমেশ কুমার জয় পান। বিজেপি তাদের প্রার্থী এস সুরেশ কুমারকে লড়াই থেকে প্রত্যাহার করে নেয়। তবে শুক্রবার কর্নাটক বিধানসভা সাক্ষী থাকল কয়েকদিন আগের একটি ছবির।
প্রয়োজনীয় সংখ্যাক বিধায়ক না থাকায় মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার দুদিন বাদে গত ১৯ মে ইয়েদুরাপ্পা আস্থাভোটের মুখেই পদত্যাগ করেন। আস্থা ভোটে না গিয়ে বিধানসভা কক্ষ ত্যাগ করেছিলেন। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির অন্যান্য বিধায়করা। পরে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছিলেন।
শুক্রবারও একই ছবির সাক্ষী থাকল কর্নাটক বিধানসভা। তবে পার্থক্য একটাই, বিজেপি বিধায়করা আস্থা ভোট বয়কট করে বেরিয়ে গেলেও মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসা আটকাল না এইচ ডি কুমারস্বামীর। কংগ্রেস এবং জেডিএস বিধায়কদের সমর্থনে আস্থা ভোটে সহজেই জয় লাভ করলেন তিনি। দেখা যায়, একদিকে যখন উপস্থিত রয়েছেন সমস্ত কংগ্রেস এবং জেডিএস বিধায়করা, অন্যদিক তখন পুরো ফাঁকা। এর মধ্যেই অবশ্য কর্নাটকের জোট সরকারের উপ–মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের জি পরমেশ্বর বক্তব্যে শুরু হয়েছে নয়া জল্পনা।
সবাইকে অবাক করে দিয়ে তিনি বললেন, ‘টানা ৫ বছর এইচডি কুমারস্বামী মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন কিনা তা এখনও স্থির হয়নি। কোন মন্ত্রী কোন দপ্তর পাবেন এখনও ঠিক হয়নি। সব খুঁটিনাটি চূড়ান্ত হওয়া এখনও বাকি। তারপর আসছে ৫ বছরের সময়সীমার কথা। শুধু ওরাই মুখ্যমন্ত্রিত্ব পাবে নাকি আমরাও থাকব এই সব নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি এখনও।’ উপ–মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যে জোটে ফাটল ধরবে নাকি আরও অন্য কোনও সমীকরণের দেখা মিলবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেল।
0 comments: