গুয়াহাটি : গত বছর ৮ নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্ৰ মোদীর যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ছিল বিমুদ্রাকরণ। এই দিনটি কালোটাকা বিরোধী ও দুনীতি প্রতিরোধ দিবস হিসাবে পালন করবেন সরকার। আগামী ৬-৯ নভেম্বর রাজ্যের বুদ্ধিজীবিদের সঙ্গে বৈঠক, সাংবাদিক সন্মেলন, আলোচনা সভা প্রভৃতির মাধ্যমে রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নানা পরামর্শ গ্রহণ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনােয়াল তার তৃতীয় সাংবাদিক সম্মেলনে দুৰ্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে বলেন— মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পঞ্চায়ত, ডিজিপি কাৰ্যালয় থেকে থানা, তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত যেকোনও ধরণের দুৰ্নীতির বিরুদ্ধে সরকার কঠোর থেকে কঠোরতম ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ইতিমধ্যে বহু দুৰ্নীতি পরায়ণ অফিসারের বিরুদ্ধে সরকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কোন দুৰ্নীতি পরায়ণ অফিসারকে রেহাই দেওয়া হবেনা। এপিএসসির চেয়ারম্যানসহ সহকারী দুজনকে সরকার জেলে পুড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে দেশের আর্থিক অবস্থা চাঙা ও স্বচ্ছ হয়েছে। বিগত ৫৫ বছরের বেশি সময় ধরে কংগ্রেস দেশ শাসন করেছে, লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকার দুৰ্নীতি হয়েছে। দেশের কোনও মানুষ বাজেটের তহবিল থেকে উপকৃত হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রী মোদী ক্ষমতায় বসেই দুৰ্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে স্পেশাল ইনভেষ্টিগেটিক টিম গঠন করে দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন দেশের ব্ৰাজ্যের মানুষ তার এই দুৰ্নীতিবিরোধী আন্দােলনকে সমর্থন জানিয়েছে। রাজ্যের সরকারী কর্মচারীরাও যাতে সম্পত্তি হিসেব দাখিল করে সে ব্যাপারে সরকার চিন্তা-ভাবনা করছে। মুখ্যমন্ত্রী দাবী করেন, বিমুদ্রাকরণের ফলে রাজ্যের আর্থিক অবস্থা ভাল হয়েছে, মূল্যবৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছে, বরাক-ব্ৰহ্মপুত্ৰ উপত্যকার তিন কোটি ত্ৰিশ লক্ষ মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে সমান মর্যাদার সঙ্গে মাথা উচু করে বাঁচতে পারে মুখ্যমন্ত্রী সেই অঙ্গীকার করে বলেন সরকার দুনীতিমুক্ত প্রশাসন উপহার দেওয়ার ক্ষেত্রে সংকল্পবদ্ধ। অগপর সভাপতি তথা মন্ত্রী অতুল বরা নাগালেণ্ড চুক্তির প্রকাশ করার দাবী জানিয়েছেন। এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে রাজ্যের কয়েকটি জেলা বৃহত্তর নাগালিমের সঙ্গে অন্তৰ্ভুক্ত হবে। এই চুক্তি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন রাজ্যেৰ এক ইঞ্চি জমিও সরকার ছাড়বেনা, আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব সহকারে এই কথা বলছি।
0 comments: