সিটিজেন্স রাইট কোঅর্ডিনেশন কমিটি গঠন
গুয়াহাটি : নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমিতির (সিআরপিসি) উদ্যোগে আজ গুয়াহাটির স্থানীয় এক হােটেলে বরাক-ব্ৰহ্মপুত্র উপত্যকার বিভিন্ন হিন্দু-মুসলিম জনগোষ্ঠীর নানা সংগঠনের প্রতিনিধিরা এন আর সি উদ্ভূত নানা জটিল সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সিটিজেন্স রাইট কোঅর্ডিনেশন কমিটি গঠন করে। সি আর পিসির রাজ্য সভাপতি নৃপেন্দ্ৰ চন্দ্র সাহাকে মুখ্য আহ্বাহক, রাজ্যের বিশিষ্ট আইনজীবি তথা সি আর পিসির উপদেষ্টা হাফিজ রসিদ চৌধুরী এবং আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচাৰ্য্য অধ্যাপক তপোধীর ভট্টাচাৰ্য্যকে সিটিজেন্স রাইট কোঅর্ডিনেশন কমিটি (নাগরিক সমন্বয়ারক্ষা কমিটি) আহ্বাহক মনোনিত করে রাজ্য পৰ্য্যায়ের এই কমিটি গঠন করা হয়।
রাজ্যের ভাষিক এবং ধমীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা খোলামনে তাদের নানা সমস্যা তুলে ধরে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাৱে আন্দোলন করার ওপর জোর দেন। এক বাক্যে তারা বলেন, হিন্দু বা মুসলিম নয়। বাঙালিদের সমস্যা হিসাবে জোটবদ্ধভাবে লড়তে হবে। অধিকাংশ প্রতিনিধি আশংকা প্রকাশ করেন ৩১ ডিসেম্বর এন আর সির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ পেলে ভাষিক-ধমীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর বহু মানুষের নাম বাদ যাবে। আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচাৰ্য্য অধ্যাপক তপোধীর ভট্টাচাৰ্য্য সেই আশংকার ভাগিদার হয়ে বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনােয়াল প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন প্রকৃত ভারতীয় নাগরিকদের নাম এন আর সি থেকে বাদ যাবে না, আবার তিনিই বলছেন এন আর সির তালিকা প্রকাশের সময় রাজ্যের আইন শৃংখলা ব্যৱস্থা ভেঙে পড়তে পারে। তার জন্য সেনা বাহিনী মোতায়েন করার জন্য দিল্লিকে বলছেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের হিন্দু মুসলিমদের মধ্যে আতংকের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আমলাতন্ত্রকে দায়ী করেন। মন্তব্য করেন আমলাতন্ত্র ভীষণভাবে বাঙালী বিরোধী। সি আর পি সি উপদেষ্টা হাফিজ রসিদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, তাদের সুপ্রিম কোর্টের ওপর পূর্ণ আস্থা আছে, নাগরিকদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে কোনও বৈষম্য করবে না, সুপ্রিম কোৰ্ট সঠিকভাবে এন আন আর সির কাজ দেখভাল করছে। তার পরেও এক স্বার্থন্বেষী শক্তি রাজ্যে অশান্তির সৃষ্টির চক্রান্ত করছে। সেই দুন্টু চক্রকে শনাক্ত করতে হবে। সম্পাদক প্রধান সাধন পুরকায়স্থ তার বক্তব্যে বলেন, বরাক ব্ৰহ্মপুত্রের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে।
আজকের সভায় নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমিতি সম্পাদক প্রধান সাধন পুরকায়স্থ, সাধারণ সম্পাদক শেখর দে, সম্পাদক বিধায়ক দাস পুরকায়স্থ, নাগরিক সুরক্ষা সংগ্রাম পরিষদের প্রতিনিধি কান্তিময় দেব, বিভাজন বিরোধী ঐক্যমঞ্চের অধ্যাপক হিলাল উদ্দিন লস্কর, প্রটেকশন ফোরাম ফর বেঙ্গলী হিন্দুজ এর পক্ষে কমল দত্ত, আমসুর সভাপতি আজিজুর রহমান, সারা আসাম বাঙ্গালী যুৱ ছাত্র ফেডারেশন পক্ষে দীপক দে, ভারতীয় গণ পরিষদের অন্তোষ চৌধুরী, আমসুর উপদেষ্টা মোস্তাফা খাদ্দাম হুসেইন, অসম নাগরিক মঞ্চ (হােজাই) বিজয় চক্ৰবৰ্ত্তা, সারা আসাম বাঙ্গালী ঐক্যমঞ্চ সান্তনু মুখাৰ্জি, হরি গোস্বামী, আসাম বাঙ্গালী ঐক্য ও সমন্বয় সমিতি (লামডিং) বাবুল দেব, প্রাক্তন অধ্যক্ষ আলী হায়দার, হাইলাকান্দি জিলা পরিষদের সভাপতি আনাম উদ্দিন লস্কর, বরাকাভেলী সংখ্যানঘু উন্নয়ন সমিতির প্রতিনিধি আজিজুর রহমান বরভূইয়া প্রমুখ রাজ্যের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
রাজ্যের ভাষিক এবং ধমীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা খোলামনে তাদের নানা সমস্যা তুলে ধরে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাৱে আন্দোলন করার ওপর জোর দেন। এক বাক্যে তারা বলেন, হিন্দু বা মুসলিম নয়। বাঙালিদের সমস্যা হিসাবে জোটবদ্ধভাবে লড়তে হবে। অধিকাংশ প্রতিনিধি আশংকা প্রকাশ করেন ৩১ ডিসেম্বর এন আর সির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ পেলে ভাষিক-ধমীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর বহু মানুষের নাম বাদ যাবে। আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচাৰ্য্য অধ্যাপক তপোধীর ভট্টাচাৰ্য্য সেই আশংকার ভাগিদার হয়ে বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনােয়াল প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন প্রকৃত ভারতীয় নাগরিকদের নাম এন আর সি থেকে বাদ যাবে না, আবার তিনিই বলছেন এন আর সির তালিকা প্রকাশের সময় রাজ্যের আইন শৃংখলা ব্যৱস্থা ভেঙে পড়তে পারে। তার জন্য সেনা বাহিনী মোতায়েন করার জন্য দিল্লিকে বলছেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের হিন্দু মুসলিমদের মধ্যে আতংকের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আমলাতন্ত্রকে দায়ী করেন। মন্তব্য করেন আমলাতন্ত্র ভীষণভাবে বাঙালী বিরোধী। সি আর পি সি উপদেষ্টা হাফিজ রসিদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, তাদের সুপ্রিম কোর্টের ওপর পূর্ণ আস্থা আছে, নাগরিকদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে কোনও বৈষম্য করবে না, সুপ্রিম কোৰ্ট সঠিকভাবে এন আন আর সির কাজ দেখভাল করছে। তার পরেও এক স্বার্থন্বেষী শক্তি রাজ্যে অশান্তির সৃষ্টির চক্রান্ত করছে। সেই দুন্টু চক্রকে শনাক্ত করতে হবে। সম্পাদক প্রধান সাধন পুরকায়স্থ তার বক্তব্যে বলেন, বরাক ব্ৰহ্মপুত্রের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে।
আজকের সভায় নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমিতি সম্পাদক প্রধান সাধন পুরকায়স্থ, সাধারণ সম্পাদক শেখর দে, সম্পাদক বিধায়ক দাস পুরকায়স্থ, নাগরিক সুরক্ষা সংগ্রাম পরিষদের প্রতিনিধি কান্তিময় দেব, বিভাজন বিরোধী ঐক্যমঞ্চের অধ্যাপক হিলাল উদ্দিন লস্কর, প্রটেকশন ফোরাম ফর বেঙ্গলী হিন্দুজ এর পক্ষে কমল দত্ত, আমসুর সভাপতি আজিজুর রহমান, সারা আসাম বাঙ্গালী যুৱ ছাত্র ফেডারেশন পক্ষে দীপক দে, ভারতীয় গণ পরিষদের অন্তোষ চৌধুরী, আমসুর উপদেষ্টা মোস্তাফা খাদ্দাম হুসেইন, অসম নাগরিক মঞ্চ (হােজাই) বিজয় চক্ৰবৰ্ত্তা, সারা আসাম বাঙ্গালী ঐক্যমঞ্চ সান্তনু মুখাৰ্জি, হরি গোস্বামী, আসাম বাঙ্গালী ঐক্য ও সমন্বয় সমিতি (লামডিং) বাবুল দেব, প্রাক্তন অধ্যক্ষ আলী হায়দার, হাইলাকান্দি জিলা পরিষদের সভাপতি আনাম উদ্দিন লস্কর, বরাকাভেলী সংখ্যানঘু উন্নয়ন সমিতির প্রতিনিধি আজিজুর রহমান বরভূইয়া প্রমুখ রাজ্যের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
0 comments: