গুয়াহাটি : আজ দ্বিতীয় পর্যায়ের গুনোৎসবের অন্তিম দিনে কামরূপ জেলার রামপুরস্থিত সাতপখলী বিদ্যালয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শৰ্মা ক্ষুদে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে পাশে বসে মিড-ডে-মিল গ্রহণ করে বলেন—অনেকে মিড-ডে-মিল বন্ধ করার কথা বলে। কিন্তু আজ আমি দেখলাম, এক একজন ছাত্র-ছাত্রীদুই-তিনবার করে ভাত নিচ্ছে। তাতে প্রমাণিত হয় ছাত্ৰ-ছাত্রীদের অধিকাংশ ঘর থেকে অভুক্ত অবস্থায় বিদ্যালয়ে আসে। তিনি এই কথাও বলেন— বিদ্যালয়ে আসা মাত্র দারিদ্র পীড়িত পরিবারের ছাত্ৰ-ছাত্রীদের হাতে কয়েকটি বিস্কুট তুলে দেওয়া যায় কিনা। শিক্ষামন্ত্রী মাটিতে বসে আহার গ্রহণ করার সময় পাশে বসা শিশুদের সঙ্গে কথা বার্তা বলতে দেখা গেল। শিক্ষামন্ত্রীবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কড়া হাঁশিয়ারি দিয়ে বলেন— শিশুদের সঙ্গে যাতে কোনও অন্যায় ব্যবহার করােনা হয়। এবং শিক্ষকদের নির্দেশ দেন, শিশু ছাত্রদের পড়া-শুনার ক্ষেত্রে কােনও ধরণের অবহেলা সহ্য করা হবেনা। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের সহযােগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন— গুনোৎসবের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অসুবিধাগুলি জানতে পারা যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের দুর্বলতা সমূহও দূরীকরণের লক্ষে সরকাৰ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তিনি বলেন, আগামী এপ্রিল-মে মাসে পুনরায় গুনোৎসব আরম্ভ করা হবে।
আজ যোরহাট জেলার নালকাটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকরূপে দেখা গেল বিধানসভার অধ্যক্ষ হিতেন্দ্ৰ নাথ গোস্বামীকে। তিনি ছাত্ৰ-ছাত্রীদের পাঠদানের সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যালয় পরিবেশের দিকটি খতিয়ে দেখেন। গতকাল গুনোৎসবে রাজ্যের আই এ এস পর্যায়ের অফিসাররা কামরূপ জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ক্ষুদে ছাত্ৰ-ছাত্রীদের সঙ্গে একসঙ্গে বসে মিড-ডে-মিল গ্রহণ করে বিদ্যালয়ের উন্নয়নের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখেন। বিভিন্ন বিদ্যালয়কে পিউরিফাইডসহ আনুসংঙ্গিক সামগ্ৰী প্রদান করা হয়।
0 comments: