গুয়াহাটি : জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (এন আর সি)র পুনরীক্ষণের কাজ সন্তোষজনকভাবেই শুরু হয়েছে। বছরের শেষ মাসের প্রথম দিন থেকে এ কাজ শুরু হয়েছে। ১৮,০০০ সরকারী কর্মী-অফিসার ৬,২০০ টি ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিষ্ট্রেট ইনভেষ্টিগেশন টীমের হয়ে কাজ করছেন। রাজ্যের ১১ টি জেলা, বিশেষ করে বরাক উপত্যকার কাছাড়, করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দি এবং ব্ৰহ্মপুত্ৰ উপত্যকার ধুবড়ি, দক্ষিণ শালমারা-মানকাচর, গোয়ালপারা, বরপেটা, দরং, নগাও, মরিগাও এবং বঙাইগাঁও জেলার স্পর্শকাতর জেলা হিসেবে গণ্য করে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গুয়াহাটি মহানগরীসহ রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নথিপত্র পরীক্ষা করা হচ্ছে। এন আর সি-র রাজ্যিক সমন্বয়ক প্রতীক হাজেলা বলেছেন, সুগ্ৰীম কোর্টের নির্দেশ মেনেই কাজ শুরু হয়েছে। কোনও জায়গা থেকে অগ্ৰীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। ৩৮ লক্ষ নথি-পত্রের মধ্যে কিছু গড়ামিল লক্ষ্য করা গেছে। তাই প্রথম পর্যায়ে এই লোকগুলোর নথি-পত্ৰ বিশেষভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে। নিম্ন অসমের সংখ্যালঘু অঞ্চলের সেবা কেন্দ্রগুলিতে ভিড় উপচে পড়ছে। ৩১ ডিসেম্বরের রাতেই প্রথম খসড়া তালিকা প্রকাশ পাবে।
প্রতীক হাজেলা বার-বার আশ্বস্ত করেছেন, প্রথম তালিকায় নাম না থাকলেও ভয়ের কিছু নেই। দ্বিতীয় তালিকার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এবং কোনও তালিকায় নাম থাকলেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নথি-পত্ৰ নিয়ে জেলার ডেপুটি কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেনথি-পত্ৰ দেখাতে পারেন। ডিসি সন্তুষ্ট হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম এন আর সিতে অন্তৰ্ভুক্ত হবে। রাজ্যের বিশেষ শাখার এডিজিপি পল্লব ভট্টাচার্য বলেছেন, রাজ্য সরকারের বিশেষ করে সংখ্যালঘু আধুষিত এলেকাগুলিতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, এন আর সি নিয়ে একাংশ ব্যক্তি সোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তা প্রতিরোধ করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সাইবারডোম” নামের অত্যাধুনিক এক অভিনব প্রযুক্তি গ্রহণ করা হয়েছে। সাইবারডোমের মাধ্যমে সোসাল মিডিয়ার দিকে নজর রাখা যাবে। সেই সাইবারডোমের প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য কয়েকজন পুলিশ অফিসারকে হরিয়ানায় পাঠানো হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল বলেছেন, এন আর সির মতো বিরাট কাজ সম্পূর্ণ হলে অসমের ৪০ বছরের সংগ্রাম সফল হবে। রাজ্যে এন আর সির চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ সন্তোষজনকভাবে চলছে, এর পরও কংগ্রেস মহল থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, বিজেপি চাইছেনা সম্পূর্ণ শুদ্ধ এন আর সি প্ৰস্তুত হােক।
0 comments: