গুয়াহাটি : ইতিমধ্যে লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্ব থেকে জানা গেছে রাজ্যের ২৮টি নদীর জল দূষিত ডিগবৈ, দিসাং, জীয়াভরালী, জাঁজী, কলং, কপিলী, কুন্ডলি, পাগলাদিয়া, সংকোশ, সুবর্নশিরি এবং গুয়াহাটি মহানগরের পক্ষী অভয়ারণ্য দীপারবিলের জলও দূষিত হয়ে গেছে। লোকসভায় গত জুলাই মাসের প্রতিবেদনের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। দেশের বৃহত্তম নদ তথা অসমের জীবনরেখা স্বরূপ ব্ৰংক্ষাপুত্রে দূষণের মাত্রা বহুগুণে বেড়ে গেছে। উৎপত্তিস্থল চীন থেকে সিয়াং নদী হয়ে অরুণাচল প্রদেশের দিবাং এবং লোহিতের সঙ্গে মিশেছে। এইতিন ধারা একত্রিত হয়ে সৃষ্টি হয়েছেঅসমের ব্ৰহ্মপুত্ৰ নদ। ব্ৰহ্মপুত্র নদের প্রধান অববাহিকা সিয়াং নদী অরুণাচল প্রদেশের জীবন ধারা। শীতকালে সিয়াং-এর জল থাকে স্বচ্ছ আয়ানার মতো শুদ্ধ। সেই জলের রং রাতা-রাতি পালিটয়ে এখন কাদা গোলা জলে পরিণত হয়েছে। সেই জল ব্যবহার করার উপর নিধেষাজ্ঞা আরোপ করেছে পশিঘাটের জেলা প্রশাসন। অরুণাচল প্রদেশের পূর্ব সিয়াং জেলার পশিঘাটের বাসিন্দারা অভিযোগ করেছে, সিয়াং নদীর জল কাদাই ভরে উঠেছে। ভেসে উঠছে মরা মাছ। পূর্ব সিয়াং জেলার কংগ্রেস সাংসদ নীনং এরিংয়ের প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করে চীনের দিকে আঙুল তুলেছেন। অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমা খাণ্ডুও গতকাল সিয়াং নদীর বিভিন্ন স্থল পরিদর্শন করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দীর্ঘ পত্ৰ পাঠিয়ে অবিলম্বে চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। অভিযোগ উঠেছে, চীন পৃথিবীর মধ্যে দীর্ঘতম প্রায় ১০০০ কিলোমিটার সুড়ঙ্গ খুঁড়ে সাংপো নদীর গতিপথ তীব্বত থেকে ঘুড়িয়ে মরুভূমি অঞ্চল তাকলামকান অঞ্চলে প্রবাহিত করা চেষ্টা করছে। এই সুড়ঙ্গ নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে অসমের জীবন ধারা ব্ৰহ্মপুত্র প্রায় শুকিয়ে যাবে। অসম সরকার বিষয়টি নিয়ে অরুণাচল প্রদেশের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে জানা গেছে। বরাক উপত্যকার প্রধান নদী বরাক নদীও দূষিত হয়ে গেছে। বিগত নমামি বরাক উৎসবের দিন থেকেই বরাক নদীতে ড্রেজিং-এর কাজ শুরু হয়েছে। ব্ৰহ্মপুত্র নদেও হবে। তা সফল হলে এই নদী দুটি দূষণের হাত থেকে কিছুটা হলওে রক্ষা পাবে।
Sangbad Prahari
No. 1 Web Media in North-East India. Maintained and Published by Saiyad Bulbul Jamanur Hoque on behalf of Save Media Solution (A unit of SAVE).
0 comments: