গুয়াহাটি : আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারীর আগে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে বিজেপির সভায় রাজ্যিক সভাপতি রঞ্জিৎ দাস পুনরায় ঘোষণা করেন, তারা কোনও দলের সঙ্গেই নির্বাচনী সমঝোতা করবে না। আমসাং বনাঞ্চল নিয়ে এবং রাজ্যের সাম্প্রতিক আকাশ ছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে রাজ্যিক সভাপতির মন্তব্যকে ঘিরে রাজ্যজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সভাপতি বলেছেন, যতই মূল্যবৃদ্ধি হােক, পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাতে কোনও প্রভাব পড়বে না। বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি ইন্দ্রমণি বরা বর্তমানের সভাপতিকে সমর্থন করে বলেছেন, রান্না করতে মাত্র এক টুকরো পিয়াঁজ লাগে, ফলে পিয়াঁজের মূল্য বৃদ্ধি হােক বা না হােক তাতে কোনও যায় আসে না। সভাপতি বলেছেন, আমসাং বনাঞ্চলের উচ্ছেদ অভিযানের ফলে সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। এর কোনও বিরূপ প্রভাব আগামী নির্বাচনে পড়বে না।
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে শাসকদল বিজেপি, বিপিএফ এবং অগপর মধ্যে কন্দলের সৃষ্টি হয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল কুমার মহন্ত এবং বিজেপি সাংসদ বিজয়া চক্রবর্তীর মধ্যে বাক-বিতণ্ডার শুরু হয়েছে। চক্রবর্তী বলেছেন, রাজ্যে এন আর সি উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য অগপ দায়ী। মহন্তর রাজত্বে একজন বিদেশিকেও বিতাড়ণ করা হয়নি। তিনি মাত্ৰ সাতজন বিদেশিকে বিতাড়ণ করেছিলেন। ফলে মহন্তর বক্তব্যর কোনও ওজন নেই এবং গুরুত্বহীন। তার রাজত্বেই লাওখোয়া, কাজিরঙ্গা প্রভৃতি বনাঞ্চলে বেদখল চলেছিল।
একইভাবে অগপর মধ্যেও কিছু আভ্যন্তরীণ কোন্দলের খবর পাওয়া গেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঘিরে আগপর দুটি শিবিরের সৃষ্টি হয়েছে। প্রফুল মহন্ত এবং সভাপতি অতুল বরা শিবির। মহন্তের গ্রহণযোগ্য থাকা বরাক উপত্যকা সফরের সময় অতুল বরা মহন্তকে সঙ্গে নিলেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। সস্ত্রীক মহন্ত রাজস্থান সফরে ব্যস্ত ছিলেন। ঠিক সেইসময় অগপ-সভাপতি অতুল বরা বরাকের হাইলাকান্দিসহ কয়েকটি জায়গায় সভা করলেন। বরাক অগপ অভিযোগ করেছে, প্রফুল্ল মহন্ত এলে অগপর গ্রহণযোগ্যতা অনেক বৃদ্ধি পেত।
0 comments: