দেবকিশোর চক্রবর্তী, কলকাতা ঃ
কে বলবে জমানা বদলেছে ! কে বলবে এরাই ছিল বাম জমানায় লোকাল দাদা ! এক সময়ের কট্টর বামপন্থী ক্যাডারদের অধিকাংশই বর্তমানে রঙ পাল্টে 'অতি তৃণমূল' হয়ে গেছেন। এই সব ভেকধারিদের দাপটই এখন মাথাব্যাথা কৃরণ। অথচ দলের সূচনালগ্ন থেকে মিটিং মিছিলে সামিল হওয়া প্রকৃত 'তৃণমূলী'রাই আজ কোনঠাসা। তবে দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু বলছেন, পুরোনোদের অসম্মান বরদাস্ত করা হবে না।রাজ্যে বিভিন্ন জেলাতেই কিন্তু প্রকাশ্যে অমান্য করা হচ্ছে নেত্রীর নির্দেশ।
জার্সি বদলে তৃণমূল কংগ্রেসে ঢুকে পড়া প্রাক্তণ বাম ক্যাডাররাই এখন বড় 'মাতব্বর'। আক্ষেপের সঙ্গে তেমন কথাই বলছিলেন দীর্ঘ দিন দলের রাজ্য কমিটিতে থাকা এক প্রাক্তণ সচিব। হুগলি এই প্রবীণ তৃণমূল নেতা অভিমানে নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন। না দল ছাড়ার কথা তিনি ভুলেও ভাবছেন না। বরং বলছেন, 'দিদির আদর্শকে সামনে রেখেই আমরা দল করছি। কষ্ট হয় যখন দেখি সিপিএম-এর একদা 'হর্মাদ'রা দলের কার্যালয়গুলোতে দাপট দেখাচ্ছে তখন লজ্জ্বা হয়।' অভিমানে দল থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখা প্রকৃত তৃণমূল কর্মীদের সংখ্যাটা দিন দিন বাড়ছে। দলের সুপ্রিমো সয়ং এ বিষয়ে অবগত আছেন। তারপরেও শক্ত হাতে এহেন সমস্যার সমাধান না করায় অভিমানীদের সংখ্যা বাড়ছে। আর এই অভিমানী তৃণমূল নেতা কর্মীরাই এখন বিজেপির টার্গেট। এদের ঘাসফুল থেকে গেরুয়া শিবিরে টানটে মূল দায়িত্ব সামলচ্ছেন সদ্য তৃণমূলত্যাগী নব্য বিজেপি মুকুল রায়। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের শক্তিবৃদ্ধি করতে মুকুলেই আস্তা রাখছেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেত্রীত্ব।তবে অতিবাম এবং বামফেরত নব্য তৃণমূলীদের এখনই গেরুয়া শিবিরে ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে না।
0 comments: