সুপারি কিলার লাগিয়ে প্রভাবশালী মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে হত্যার চেষ্টা : রাজ্যজুড়ে তোলপার, গ্রেপ্তার ২

গুয়াহাটি : রাজ্যে অপরাধ জগতের নতুন ভাষা সুপারি কিলার’। শুক্ৰবার দুই সুপারি কিলার রাজ্যের প্রভাবশালী এক মন্ত্রীকে হত্যার ম্যাসেজ পাঠিয়ে পুলিশের জালে পড়েছে। দেশের উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু যেদিন গুয়াহাটির এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সেদিন দিল্লী যাওয়ার পথে প্রাক্তন মন্ত্রী রকিবুল হােসেইনের মোবাইলে এক আপত্তিজনক ম্যাসেজ আসে। সেই ম্যাসেজে হাজোর এক ব্যক্তি ৫কোটি টাকা দাবী করে জালুকবারী অঞ্চলে বোম মেরে মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে উড়িয়ে দেওয়া হবে বলে জানায়। এই ম্যাসেজ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উপরাষ্ট্রপতির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ডিজিপি মুকেশ সহায়কে অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে এজাহার দাখিল করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবী জানান রকিবুল। ডিজিপি সেই ম্যাসেজের বিষয়বস্তু জেনে কামরূপ জেলার পুলিশ সুপারকে অবিলম্বে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। উত্তর গুয়াহাটি পুলিশ হাজো থানা অঞ্চল থেকে ফকরুদ্দিন আলী এবং পবন আলী নামে স্বাস্থ্য বিভাগের দুই চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারিকে গ্রেপ্তার করে হাজো থানায় ৯০৯/১৭ কেস রুজু করেন। আজ তাদের দুইজনকে গ্রেপ্তার কৰে গুয়াহাটি সেশন ন্যায়াধীশের কাছে হাজির করানো হয়। তাদের দুইজনকেই পুলিশ হেফাজতে না পাঠিয়ে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানাে হয়। তা নিয়ে পুলিশের মধ্যেই ধোয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নবনিৎ মহন্ত জানিয়েছেন, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ, প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি রিপুন বরা, প্রাক্তন মন্ত্রী রকিবুল হােসেইন, কংগ্রেস নেতা দুলু আহমেদের কাছে একই বিষয়বস্তুর ম্যাসেজ পাঠিয়েছে ধৃত ব্যক্তিদ্বয়। এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে হিমন্তর জেড কেটাগরী নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। রাজ্যের ‘সেকেন্ড কমন্ডার ইন চীফ” বলে পরিচিত অত্যন্ত প্রভাবশালী মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা, যার সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ইদানিং সুক্ষ্ম এক ব্যবধানের সৃষ্টি হয়েছে। রাজ্যের বহুল প্রচারিত এক সংবাদ গোষ্ঠীর মালিকের সঙ্গেও মুখোমুখি যুদ্ধের সূত্রপাত হয়েছে। এই সেই মন্ত্রী শৰ্মা যিনি উত্তর-পূর্বাঞ্চলৰ ডেমক্রেটিক এলায়েন্স-এর প্রধান এবং এই মন্ত্রীকেই জাতীয় রাজনীতির অঙ্গনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। ঠিক এই সন্ধিক্ষনে সেই প্রভাবশালী মন্ত্রীকেই বােমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার গভীর চক্রান্তের মধ্যে যেমন ধোয়াশা আছে, তেমনিই রহস্যর গন্ধও পাওয়া যাচ্ছে। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল থেকে শুরু করে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈসহ যাদেরকে ম্যাসেজ পাঠানো হয়েছিল তারা সবাই তীব্র নিন্দা করে উপযুক্ত তদন্ত করে অপরাধীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন৷

SHARE THIS

No. 1 Web Media in North-East India. Maintained and Published by Saiyad Bulbul Jamanur Hoque on behalf of Save Media Solution (A unit of SAVE).

0 comments: