৮ই মার্চে এই প্রথম উত্তর-পূর্বাঞ্চল ভ্রমণে আসছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ

অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : 
অসম তথা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এই সর্বপ্রথম বিদেশের কোনও রাষ্ট্রপতি আসছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ আগামী ৮ মার্চ গুয়াহাটি, শিলং এবং নয়া দিল্লী সফরে আসছেন। গত ‘এ্যাডভান্টেজ আসাম’ শীর্ষক বিশ্ব শিল্প বিনিয়ােগ সন্মেলনে বাংলাদেশের সঙ্গে যােগাযােগ ব্যবস্থা সহ বিভিন্ন বিষয়ে দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি হামিদের সঙ্গে সেইসব দ্বি-পাক্ষিক বিষয় নিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনােয়াল আলােচনায় বসবেন। রাষ্ট্রপতি সন্মানে অসম সরকারের পক্ষ থেকে গুয়াহাটির এক পঞ্চতারকা হােটেলে ভােজসভার আয়ােজন করা হয়েছে। 
গুয়াহাটিস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন কার্যালয়ের সহকারী হাইকমিশনার কাজি মুস্তাশির মুর্শেদ এই প্রতিবেদককে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সফরের বিস্তারিত খবর দিয়ে জানান, রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ আগামী ৮ মার্চ বিশেষ বিমানে গুয়াহাটি আসবেন। সঙ্গে থাকবেন বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যায়ের ৭০ জন প্রতিনিধি। ঐ দিনই তিনি অসমের রাজ্যপাল জগদীশ মুখী এবং মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনােয়ালের সঙ্গে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ করবেন। রাতে স্থানীয় এক হােটেলে অসম সরকারের আয়ােজিত এক ভােজ সভায় অংশগ্রহণ করবেন। ৯ মার্চ তিনি শিলং যাবেন। শিলং-এ রাত্রি বাস করে পরদিন এবং ১০ মার্চ গুয়াহাটি বিমান বন্দর হয়ে নয়া দিল্লী যাবেন। নয়া দিল্লীতে সৌর শক্তি সম্পর্কীয় এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যােগ দেবেন। ১২ মার্চ বাংলাদেশ ফিরে যাওয়ার কথা আছে। প্রসঙ্গত অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী নবায়নের কাজ চলছে। বংশবৃক্ষ পরীক্ষা করার সময় বহু ভূয়াে তথ্য পাওয়া গেছে। 
অভিযােগ উঠেছে হাজার হাজার এইরকম ভুয়াে নাম এন আর সির তালিকাভূক্ত করতে গিয়ে ধরা পড়েছে। বাংলাদেশ সরকার অসমের এন আর সি তালিকা প্রকাশকে কেন্দ্র করে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, অসমে কয়েক লক্ষ লােকের নাম বাদ পড়বে। তাদের বােঝা বাংলাদেশ সরকার নেবে না৷কারণ বাংলাদেশে অসমের কোনও মানুষ নেই। এই সম্পর্কে আজ বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনারকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, বাংলাদেশ সরকারীভাবে অসমের কোনও ব্যাপারে কোনও বক্তব্য পেশ করেনি। অসমের সঙ্গে বাংলাদেশের সু-সম্পর্ক আছে। এবং ভবিষ্যতেও সেই সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির এই প্রথম অসম-মেঘালয় সফরের ফলে দুই দেশের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক আরও উন্নত হবে। 
আসুর উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্য অভিযােগ করেছিলেন, ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মােদী বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ২২ টি চুক্তি সম্পাদন করেছিলেন। কিন্তু তার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যার্পন চুক্তি ছিল। অসমে লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশীদের অস্তিত্ব আছে। তাদেরকে বিতাড়ন করার কোনও রাস্তায় নেই। একমাত্র প্রত্যার্পন চুক্তি থাকলেই তা সম্ভব হতাে। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনােয়াল প্রত্যার্পন চুক্তি সম্পর্কীয় বিষয়টি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের গােচরে আনবেন বলে দিসপুরে এক সূত্র থেকে জানা গেছে।

SHARE THIS

No. 1 Web Media in North-East India. Maintained and Published by Saiyad Bulbul Jamanur Hoque on behalf of Save Media Solution (A unit of SAVE).

0 comments: