গুয়াহাটি : সাংবাদিক চিকিৎসা কল্যাণ প্রকল্পের অধীনে মঙ্গলবার রাজ্যের নানা প্রান্তের ৩১ জন অসুস্থ সাংবাদিককে মােট ৯,৭২,৩৪৩ টাকার চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়। এই প্রকল্পের জন্য তিন কোটি টাকার একটি কপাস তহবিল রয়েছে। এর আগে, রাজ্যের প্রায় ১৫০ জন সাংবাদিককে এই প্রকল্পের অধীনে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এই বাবদ ব্যয় করা হয়েছে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা। এর জন্য জনতা ভবনে মুখ্যমন্ত্রীর সভাকক্ষে তথ্য ও জনসংযােগ বিভাগের সৌজন্যে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা হৃষিকেশ গােস্বামী চিকিৎসা কল্যাণ প্রকল্পের অধীনে ৩১ জন নানা অসুখে আক্রান্ত সাংবাদিককে আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দিয়ে বলেন,
সাংবাদিকরা সমাজের বিবেক, অতন্দ্র প্রহরী। সাংবাদিকরা দিনরাত, রােদে-বৃষ্টিতে কষ্ট স্বীকার করে যে-কোনও ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই সেই সংবাদ সংগ্রহ করে পরিবেশন করেন। এভাবে এক সুস্থ, গণতান্ত্রিক মূল্যবােধের আধারে সমাজ নির্মাণে তাঁরা ব্ৰতী থাকেন। সাংবাদিকরা অ্যান্টি ভাইরাসের মতাে ২০ অসুস্থ সাংবাদিককে অর্থ সাহায্য দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই মহতী কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রেস অ্যাডভাইজার ঋষিকেশ গােস্বামী। জনতা ভবনে মঙ্গলবার সমাজের সমস্ত অশুভর বিরুদ্ধে জনমত গঠন করে সমাজকে গতিশীল করে তােলায় সহায়ক ভূমিকা পালন করেন। সেকারণেই, সাংবাদিকদের সমাজের বিবেক তথা অতনদ্র প্রহরী বলে অভিহিত করা হয়। এই সাংবাদিকদের কল্যাণে রাজ্য সরকার বেশ কিছু কল্যাণমুখী প্রকল্প গ্রহণ করেছে। আগামীতেও সাংবাদিকদের সমস্যার সমাধানে সরকার প্রয়ােজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ভাষণ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের কল্যাণে সরকার গৃহীত প্রকল্পগুলি তাঁদের কল্যাণে সরকারের এক বিনম্র প্রয়াস বলে তিনি উল্লেখ করেন। সাংবাদিকদের কল্যাণে এটা সরকারের কোনও অনুগ্রহ নয়, বরং এটা সরকারের দায়িত্ব।
অন্যান্য পেশা, বিশেষত, সরকারি চাকরিজীবীদের আর্থিক নিরাপত্তা থাকলেও সাংবাদিকদের আর্থিক নিরাপত্তা কম বলে স্বীকার করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা হৃষিকেশ গােস্বামী বলেন, সেকারণেই রাজ্য সরকার সাংবাদিকদের স্বার্থে বাস্তবমুখী পদক্ষেপের প্রয়াস গ্রহণ করেছে। সাংবাদিক ইউনিয়নগুলির সঙ্গে আলােচনা করে বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের স্বার্থে নানা পদক্ষেপ করেছে। এবারের বাজেটে মিডিয়া ট্রাস্টের জন্য ১০ লক্ষ টাকা, সাংবাদিকদের জন্য বিমা প্রকল্প গ্রহণের জন্য ব্যবস্থাগুলি এরই পরিচায়ক। অনুষ্ঠানে তথ্য ও জনসংযােগ বিভাগের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত মুখ্যসচিব ডা. এ কে সিং, তথ্য ও জনসংযােগ বিভাগের সচিব সাজিদ জামান হাজরিকা, তথ্য ও জনসংযােগ বিভাগের ডিরেক্টর রাজীবপ্রকাশ বরুয়াও ভাষণ দেন।
0 comments: