দেবকিশোর চক্রবর্তী, কলকাতা :
সময়টা ভালো যাচ্ছে না। ঘরে বাইরে হাজার এক সমস্যা। ঘনিষ্ঠ মহলে বলেও ফেলছেন সে কথা। তিনি শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। দেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী কোলকাতার মহানাগরিক। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একদা বিশ্বস্ত সৈনিক। দেশ বিদেশে একাধিকবার নেত্রীর সফর সঙ্গীও হয়েছেন। একদা ছিলেন মমতার স্নেহধন্য এবং চূড়ান্ত আস্তাভাজন। আর বলাবাহুল্য সেই সুজোগ কাজেও লাগিয়েছেন সুদে আসলে। দিদি'র হাত মাথায় থাকায় পেয়েছেন জেড প্লাস নিরাপত্তা বলয়। কলকাতার মেয়র পদের পাশাপাশি পেয়েছেন মমতা সরকারের তিন তিনটি মন্ত্রকের দায়িত্ব। শুধু তাই নয়। নিজের আত্মীয় পরিজনদের জন্য নিয়েছেন বহুবিধ সুবিধা। কাউকে চেয়ারম্যান তো কাউকে বিধায়ক পদের টিকিট পাইয়ে দেওয়া। তো এহেন শোভনবাবু নাকি দল ছাড়ছেন।
গত কয়েকদিন ধরেই হাওয়া গরম। স্ত্রী-র সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি তলানিতে ঠেকেছে। আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে কাজিয়া।সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে খোদ দলনেত্রীর সঙ্গেও। এহেন পরিস্থিতিতে বাস্তবিক বিব্রত শোভনের রক্তচাপ বাড়িয়েছে সিবিআই জুজু। 'সারদা এবং নারদ' দুই কান্ডেই নাম জড়িয়েছে। সব মিলিয়ে শংকিত শোভনবাবু নাকি গা বাচাতে গেরুয়া শিবিরেই যাচ্ছেন। বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের কেউ কেউ নাকি কথাও বলেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। অথচ যাকে নিয়ে জলঘোলা সেই শোভন বলছেন,"পাগল নাকি!" তিনি বলছেন, ছিলাম, আছি থাকব। ওসব চক্রান্ত।"
তবে এসবের নেপথ্যে একজনের নাম উঠে আসছে ঘুরেফিরে। যিনি দল ভাঙার অন্যতম দক্ষ রাজনীতিক। যিনি বাংলার প্রতিটি অঞ্চলকে চেনেন হাতের তালুর মতো। উঠে আসছে সেই নাম মুকুল রায়। কলকাতার মহানাগরিককে দিয়ে নাকি খাতা খুলতে চাইছেন। মুকুলবাবুর তরফে কোনো মন্তব্য নেই। বলছেন , সবুরে মেওয়া ফলে। কলকাতার মহানাগরিক বলছেন, প্রশ্ন নেই।
0 comments: