২৬ মার্চ-এ গুয়াহাটিতেও পালিত হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস
গুয়াহাটি : বরপেটারােড বিলাসীপারার কবি, সাহিত্যিক মােজাম্মেল হক তার বাংলা ভাষায় লিখিত কাব্য গ্রন্থ ‘উপহার’ মঙ্গলবার নিজ হাতে গুয়াহাটিস্থিত বাংলাদেশ হাই কমিশনার কার্যালয়ের সহকারি হাই কমিশনার কাজী মুশতাসির মুর্শেদর হাতে অর্পন করেন। কাব্য গ্ৰন্থটি হাতে নিয়ে সহকারি হাই কমিশনার মুর্শেদ সন্তোষ প্রকাশ করার সঙ্গে পরবর্তীতে সহায়-সহযােগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন— প্রজাতন্ত্র বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নে ক্রমশঃ এগিয়ে চলেছে। প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্যতম প্রধান নগর গুয়াহাটিতে বাংলাদেশের হাই কমিশনের কার্যালয় স্থাপনের পর থেকে অসম বাংলাদেশ সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ দিবস যথাযথ মর্যাদা সহকারে গুয়াহাটিতে উদযাপন করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে অসমমেঘালয়ের আপামর মানুষ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি মেঘালয়ের এক প্রত্যন্ত গ্রামে মুক্তি যুদ্ধের সময় আত্মগােপন করেছিলেন। সেইসব স্মৃতি বিজরিত স্থান পরিদর্শনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ আব্দুল হামিদ এই অঞ্চল ঘুরে গেলেন।
আগামি ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। সেই দিবস উদযাপনে অসমেও এক অনুষ্ঠানের আয়ােজন করা হবে৷তিনি বলেন, এই উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের সুবচন নাট্য সাংসদ’নামে এক নাট্য গােষ্ঠীর ৩০ জন শিল্পীর দল গুয়াহাটির পঞ্চতারকা হােটেল রেডিশন ব্লুতে ‘মহাজনের নাও’ শীর্ষক একটি নাটক পরিবেশন করবে। তিনি বাংলাদেশ-অসমের সম্পর্কের উন্নয়নের ওপর জোর দিয়ে বলেন, এখন বাংলাদেশের প্রতি এই অঞ্চলের ধারণা পাল্টিয়ে গেছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক বিকাশের এগােচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে অসমে অনুপ্রবেশের অভিযােগ ঠিক নয়। আজ রাজ্য বিধানসভায় রাজের সংসদীয় মন্ত্রী চন্দ্রমােহন পাটোয়ারি জানান, রাজ্যে সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশে এন আর সির কাজ চলেছে। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, এই ধরণের কোনও খবর তাদের হাতে নেই। বিধায়য় মৃণাল শইকীয়া বিষয়টি বিধানসভায় উত্থাপন করেছিলেন।
0 comments: