দেবকিশোর চক্রবর্তী, কলকাতা :
শেষতক রামাবতারেই আস্থা রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বাংলার বাম নেতারা। খাতায় কলমে এ বঙ্গে প্রায় বিলুপ্ত বামপন্থী নেত্রীত্বের কাছে রামাবতারই এখন শেষ ভরসা। মুখে না বললেও মানছেন একদা ঈশ্বরবিমুখ নাস্তিক নেতাদের একাংশ। তাঁদের মতে তৃণমূলের চেয়ে বেশি ভরসার গেরুয়াই।গত কয়েকদিন ধরে তেমনটাই মনে হচ্ছে বঙ্গ রাজনীতির হালচাল দেখে।
বিশেষ করে প্রবীণ বাম নেতাদের অনেকেই মুখিয়ে আছেন শিবির বদলের জন্য। সাম্যবাদে বিশ্বাসী একদা নাস্তিক নেতাদের কেউ কেউ তো প্রকাশ্যই বলছেন রামই তো আসল নায়ক। অথচ এরাই এক সময় বড়ো মুখ করে বলতেন, দূর্বল মানুষই ভয়ে ভক্তি করে ঈশ্বরকে। তা সে রাম কিম্বা রহিম যেই হোন। অথচ, সেদিনের সেই 'দাম্ভিক' নেতারাই আজ তৃণমূল কংগ্রেসকে রুখতে রামের প্রস্বস্তি গেয়ে গেরুয়া শিবিরে ঢোকার চেষ্টা করছেন।
আর সেই সুজোগটাকে কাজে লাগাতে রীতিমতো উঠেপরে লেগেছে বঙ্গের 'গেরুয়া' ব্রিগেড।
বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাণতি দিলিপ ঘোষ বলছেন, 'আমাদের দলে সবাই স্বাগত।' একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের মতে, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই বাম নেতাদের একটা বড় অংশ বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। যাঁদের মধ্য রয়েছেন বেশ কয়েকজন হেভি ওয়েট নেতা। তাদের টার্গেট যে কোনো মূল্যে তৃণমূলকে প্রতিহত করা। বৃহস্পতিবার রাতে বাংলার এক প্রাক্তণ ডাকাবুকো মন্ত্রী বলছিলেন, 'নিরুপায় আমরা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রুখতে হলে বাংলার বামেদের অবতার রামকেই ভরসা করতে হবে।'
এদিকে বাংলার শাসষক দল তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা বলছেন, 'ওরা এখন তো দেউলিয়া। নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থেই ওরা জার্সি বদলাবে।' বঙ্গ রাজনীতির অলিন্দে এখন সেই চর্চাই চলে জোর কদমে।বামেদের রামভক্তি বলে কথা!
তবে খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো বলছেন, কোনো লাভ হবে না দল বদলে। বরং আমাদের দরজা খোলা। চলে আসুন।
0 comments: