সরকার বলেছিল ৫২ জন, বাকী ডি ভােটার কোথায় থেকে এল : প্রশ্ন বিধায়ক কমলাক্ষের
গুয়াহাটি : গােয়ালপাড়া জেলার কারাগারে ২৫১ জন ডি ভােটার। গত সােমবার থেকে এক নাগাড়ে অনশন ধর্মঘট করে যাচ্ছেন। আজ গােয়ালপাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডেপুটি কমিশনার কারাগারে গিয়ে অনশন প্রত্যাহারের জন্য অনুমােদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু বন্দিরা এই অনুরােধ প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছেন, তারা ভারতীয় নাগরিক। বৈধ নথি-পত্র তাদের আছে। এমনকি অনেকের নামও এন আর সি তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনােয়াল আমাদের সামনে আসুক, আমরা তার সামনে বৈধ নাগিরকত্বের প্রমাণ দেব।'
এদিকে বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ জানান, বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার জানিয়েছিল, রাজ্যে বিভিন্ন কারাগারে মাত্র ৫২ জন ডি ভােটার আছে। এত ডি ভােটার কোথায় থেকে এল? তিনি অভিযােগ করেন, বিধানসভায় অসত্য জবাব দেওয়া হয়েছে। জনগণকে বিপথে পরিচালিত করা হয়েছে। তিনি দাবি জানান, কার প্ররােচনায় মাত্র ৫২ জন ডি ভােটার বলা হয়েছে, তার উপযুক্ত তদন্ত হােক। গােয়ালপাড়া জেল সূত্রে জানা গেছে, জেলে সাধারণ কয়দী মিলিয়ে সর্বমােট প্রায় ৪০০ জন আছে। তাদের দৈনন্দিন খাওয়া-দাওয়া অত্যন্ত নিম্নমানের বলে অভিযােগ পাওয়া গেছে।
নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমিতির সম্পাদক প্রধান সাধন পুরকায়স্থ অভিযােগ করেন, প্রধান মন্ত্রী অসমে এসে হুংকার দিয়েছিলেন, ডিটেনশন ক্যাম্পগুলি গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। তবে কেন ডিটেনশন ক্যাম্পের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তিনি বলেন, ২০১৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় সরকার এক জোড়া নােটিফিকেশন ইস্যু করেছিল। তা যদি কার্যকরী হত, একজনকেও জেলে ঢুকতে হত না। সরকারের সদিচ্ছার অভাবের জন্য তা কার্যকরী হচ্ছে না৷বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যের বিদেশি শনাক্তকরণ ট্রাইবুন্যালগুলির অধিকাংশ বিচারপতির কর্মদক্ষতা এবং যােগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। সরকার ইতিমধ্যে ১৯ জন বিচারককে শাস্তি দিয়েছে। ১৪ জন বিচারপতির কাজ-কর্মের দক্ষতা নিয়ে সন্দেহ করা হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে প্রকৃত ভারতীয় নাগরিকদের বিদেশি সাজাবার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে সিআরপিসি অভিযােগ করেছে। তাই গােয়ালপাড়া জেলে ২৫১ জন ডি ভােটার তারা যে ভারতীয় নয়, তাদের কাছে যে বৈধ নথি-পত্র নেই সেই গ্যারান্টি কে দেবে? হয়তাে বা প্রকৃত ভারতীয় নাগরিকদের জেলের অন্ধকার কুঠুরিতে ভরে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।
0 comments: