জয়শ্রী আচার্য, লামডিং :
মধ্য অসমের রেল শহর লামডিং যেমন সংস্কৃতির জন্য, তেমনই ২৬ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট শীতলা মায়ের মূর্তি পূজো এবং বসন্ত মেলার জন্য উত্তর-পূর্বাঞ্চলে একটি পরিচিত নাম।
কথিত আছে, ৬০এর দশকে লামডিং-এ বসন্ত রােগ মহামারী রূপ ধারণ করার ফলে ৩ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। সেই সময় গুয়াহাটির আমিনগাঁও থেকে এক যুবতী নারী ব্ৰহ্মপুত্র পার হয়ে লামডিং-এ প্রবেশ করেন এবং লােক রােগমুক্ত হয়। সেই সময় স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে হরুলংফারের কয়েকজন এই পূজো শুরু করেন। পরবর্তী কালে এই পূজোর সঙ্গে বসন্ত মেলাও জুড়ে যায়।
১৯ শে মার্চ মন্দির প্রাঙ্গণে সহস্রাধিক ভক্ত এবং বিশিষ্ট জনের উপস্থিতিতে শীতলা মায়ের প্রতিমার আবরণ উন্মােচন করেন লামডিং-এর বিধায়ক শিবু মিশ্র এবং জেলা উপায়ুক্ত মানবেন্দ্র প্রতাপ সিং। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার অংকুর জৈন, পৌরনেত্রী স্বস্তিকা রাউত, কালিবাড়ির পুরােহিত শিবেন্দ্র চক্রবর্তী এবং লামডিং থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারীক মুনিন্দ্ৰ চমুয়া প্রমুখ।
প্রসঙ্গত এই পূজোয় এবারের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে নবনির্মিত ফাইবারের স্থায়ী মূর্তি। করিমগঞ্জের প্রতিমা শিল্পালয়ের মৃৎশিল্পী সঞ্জয় পাল, সুজয় পাল, সুজিত পাল এবং অন্যান্যরা এই মূর্তি তৈরী করেন। ২৬ ফুট উচ্চতা বিশিষ্টি এই মূর্তি তৈরী করতে খরচ হয়েছে ২২ লক্ষ টাকা। মূর্তি উন্মােচন করার পর আয়ােজিত সভার উদ্দেশ্য বাখ্যা করেন, মন্দির কমিটির সভাপতি তথা প্রাক্তন বিধায়ক স্বপন কর।
অনুষ্ঠানে কোমলগান্ধার সংগীত মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রী সুনন্দা দেব-এর ভক্তি সংগীতের উপর আধারিত নৃত্য ছিলাে অন্যতম আকর্ষণ। অন্যান্য বারের মতাে এবারও ৬শরাে অধিক দুস্থ মানুষের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। রাজেশ বসু, পরিচালনায় সহায়তা করেন পূজো কমিটির আহ্বায়ক উত্তম দাস, সম্পাদক দিলীপ দে প্রমুখ। এই পূজো এবং মেলা চলবে আগামী ২৭ মার্চ পর্যন্ত।
0 comments: