ছবি- শ্বরিফ উদ্দিন আহমেদ |
গুয়াহাটি : রাজ্যে মাথা পিছু আয় অন্যান্য রাজ্য থেকে অনেক কম। বিদ্যুতের ক্ষেত্রেও ভালাে নয়। শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য বিভাগের ক্ষেত্রে কিছুটা এগিয়ে গেলেও এখনাে অনেক কাজ করতে হবে। ১৫তম অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান আজ গুয়াহাটিতে রাজ্যের অর্থনীতিক ছবি তুলে ধরে এই মন্তব্য করেন। চেয়ারম্যানের এন কে সিং বলেন—গত দুবছরে রাজস্বকে ধরে কয়েকটি ক্ষেত্রে বিকাশের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু অন্যান্য ক্ষেত্রে পিছিয়ে। জি এস টি ক্ষেত্রে বলেন, এখনাে সময় নেওয়া উচিত। এখনই সমাধানের রাস্তা খুজে পাওয়া যাবে না।
অসম সরকারের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সােনােয়াল অসমের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে আন্তঃরাজ্য সীমান্ত অঞ্চল উন্নয়নে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দের দাবি জানান। আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে আন্তঃরাজ্য সীমান্তের পরিকাঠামাের উন্নয়ন খুব জরুরি। দুবছরে রাজ্যে আইনশৃংখলার পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করে বলেন, এখনাে জঙ্গি সংগঠনের প্রত্যাহ্বান আছে। তাই পুলিশ প্রশাসনকে আধুনিকীকরণের জন্য আর্থিক সাহায্যের প্রয়ােজন। রাজ্যের বাৎসরিক বন্যা ও ধ্বসের ফলে কোটি কোটি টাকার জীবন ও সম্পত্তি হানি হয়। এসডিআরএফএর বরাদ্দ সন্তোষজনক নয়। তাই বন্যা প্রতিরােধে বৃহৎ পরিমান আর্থিক সাহায্যের পক্ষে মুখ্যমন্ত্রী ওকালতি করেন। এশিয়ার বৃহত্তম নদীদ্বীপ মাজুলির ব্যাপক ধ্বসের কথাও উল্লেখ করেন।
১৫তম কমিশনের কাছে তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি, এআইইউডিএফ, সিপিআই, সিপিআই (এম) প্রভৃতি দল স্মারক পত্র দিয়ে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া জানান। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এক স্মারক পত্র দিয়ে রাজ্যকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার কথা জানিয়ে ১০০ শতাংশ আর্থিক সাহায্য বরাদ্দের দাবি জানান।
0 comments: