খানাপাড়ায় অগপর গণ সমাবেশ
গুয়াহাটি : আসন্ন বিহু উৎসবের মধ্যেই সর্বানন্দ সনােয়াল নেতৃত্বাধীন বিজেপি মন্ত্রীসভার সম্প্রসারণ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। বিজেপি সরকারের শরিক দল অগপর প্রাক্তন মন্ত্রী ফণীভূষণ চৌধুরীকে অন্তর্ভূক্ত করা হবে। অগপর বিধায়ক রমেন্দ্র নারায়ন কলিতা আজ দাবী তুলেছেন, অগপ থেকে দুইজনকে মন্ত্রীসভায় স্থান দিতে হবে।
আজই খানাপাড়া ময়দানে অগপর এক বিশাল জনসভা থেকে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী তথা অগপ সভাপতি অতুল বরা হুংকার দিলেন, মন্ত্রীত্বের প্রতি তাদের কোনও লালসা নেই, এক মিনিটের মধ্যে মন্ত্রীত্ব ত্যাগ করতে তারা রাজি আছে। ‘জাতি-মাটি-ভেটি’র সঙ্গে কোনও মতেই আপােস করব না। বিজেপি সরকার বাংলাদেশ থেকে বাঙালি হিন্দুদের এনে এরাজ্যে স্থান দিতে চাইছে। নাগরিকত্ব সংশােধন করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। অগপ আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বাংলাদেশী হিন্দুদের কোনও মতেই এরাজ্যে স্থান দেওয়া হবে না। অসম চুক্তির আধারে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পর হিন্দুই হােক আর মুসলিমই হােক, কাউকে তারা গ্রহণ করবে না। এইনীতির বিরুদ্ধে গিয়ে যদি বিজেপি সরকার নাগরিকত্ব বিলের পক্ষে ওকালতি করে হিন্দু বাঙালিদের এরাজ্যে স্থান করে দিতে চায়, তবে সঙ্গে সঙ্গে অগপ বিজেপি সরকারের পাশে থেকে সরে আসবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বরা বলেন, বিদেশিদের স্বদেশী করবেন না।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল কুমার মহন্ত বর্তমান সরকারের সমালােচনা করে বলেন, তার নেতৃত্বে অগপ রাজত্বে রাজ্যে সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু সবাই নিরাপত্তা পেয়েছিলাে। কোনও ধরণের সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ ঘটেনি। শান্তি-সম্প্রীতি অক্ষুন্ন ছিল। মহন্তও নাগরিকত্ব বিলের তীব্র বিরােধিতা করেন। জলসম্পদ মন্ত্রী কেশব মহন্ত বলেন, আমরা বিজেপি সরকারের শরিক হয়ে আছি ঠিকই, কিন্তু এক শতাংশও আপােস করিনি। বিধায়ক ফণীভূষণ চৌধুরী বলেন, পঞ্চায়ত নির্বাচনে তারা একাই লড়বে। বিজেপির সঙ্গে আসন সমঝােতা করবে না। তিনি তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করে বলেন, ২০২১ সালের নির্বাচনে অগপ নিজ শক্তিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। আসন্ন পঞ্চায়ত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অগপ একক শক্তিতে রাজ্যজুড়ে প্রচারাবিযান চালাচ্ছে।
অগপর নেতৃত্ব বার বার বলছে তারা বিজেপির সঙ্গে কোনও সমঝােতা করবে না। অথচ বিজেপির ২০-২২জন বিধায়ক পঞ্চায়ত নির্বাচনে অগপর সঙ্গে নির্বাচনী সমঝােতা করার জন্য দলের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে বলে অগপ সূত্রে জানা গেছে। এই প্রস্তাবের পিছনে বিজেপির দুজন মন্ত্রীও আছে বলে জানা গেছে। মন্ত্ৰী ৰঞ্জিৎ দত্ত প্রকাশ্যে বলেছেন, এই প্রস্তাবের প্রাসঙ্গিকতা আছে।
0 comments: