বিধায়ক, সাংসদ পুঁজির আর্থিক সাহায্য মন্দির-মসজিদে নয়ঃ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা

গুয়াহাটি : নাগৰিকত্ব সংশােধনী বিলকে কেন্দ্র করে রাজ্যেৰ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হতে বসেছে, এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্যেও মন্ত্রী, ১৩ জন বিধায়কও অফিসারদের বিশাল দল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনােয়াল ভিয়েতনাম সফরে গেলেন। সংশােধনী বিলের বিরােধিতা করা অগপর সভাপতি তথা কৃষি মন্ত্রী অতুল বরাও এই দলে আছেন। গৃহ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখ্যমন্ত্রী আজ তাঁর সরকারী বাসভবনে বিদেশে যাবার আগে রাজ্যের সম্পাদকদের সঙ্গে এক বৈঠকে বসে নাগৰিকত্ব সংশােধনী বিল উদ্ভূত পৰিস্থিতি নিয়ে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন। 
মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যবাসীকে আস্বস্ত করে বলেন, সরকার রাজ্যের স্বার্থ পৰিপন্থী কোনও সিদ্ধান্তইনেবেনা। রাজ্যের মানুষের যে কোনও মতামত ও পরামর্শকে গুরুত্ব দেবে, সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের মতামতকে মান্যতা দেবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নাগৰিকত্ব সংশােধনী বিলটি সম্পকে শুনানি চলছে, এখনও শেষ হয়নি। যৌথ সংসদীয় কমিটি আবার রাজ্যে আসবে। কমিটির কাছে সরকার তাদের মতামত এখনও জানায় নি। মতামত জানানাের সময় রাজ্যের মানুষের স্বার্থ সুরক্ষাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। 
অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা আবার বলেছে, আর মাসখানিক বাদেই এন আর সির চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ পাবে। তখনই রাজ্যে বাংলাদেশীদের প্রকৃত সংখ্যা জানা যাবে। তা নিয়ে হুলস্থূল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার কোনও মানে হয় না। তিনি  রাজ্যের ডেপুটি কমিশনারদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স চলার সময় ডিসিদের নির্দেশ দেন— রাজ্যের নামঘর এবং সত্রগুলি এক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয়স্থান নয়। সেই প্রতিষ্ঠানগুলির উন্নয়নে বিধায়ক এবং সাংসদরা তাদের উন্নয়ন তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্য করতে পারে। তবে মন্দির এবং মসজিদের ক্ষেত্রে তা প্রযােজ্য হবে না। 
হিমন্তের ব্যাখ্যা মন্দিরমসজিদ ধৰ্মীয়স্থান, সভা-অনুষ্ঠান করা যায় না। এই ধরণের বিভাজনমুখী ব্যাখ্যা দিয়েছেন হিমন্ত। রাজ্যে প্রায় ৫০ লক্ষ বাংলাদেশী হিন্দু আছে বলে রাজ্যের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবি ড° হিরেণ গােহাই দাবি করেছেন, তাকে চ্যালেঞ্জ করে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, মাদানী সাহেবদের দেওয়া তথ্যের উপর ড° গােহাই মন্তব্য করেছেন। 

SHARE THIS

No. 1 Web Media in North-East India. Maintained and Published by Saiyad Bulbul Jamanur Hoque on behalf of Save Media Solution (A unit of SAVE).

0 comments: