• দেবকিশোর চক্রবর্তী, কলকাতা
বরাবরই তিনি একটু বিতর্কীত চরিত্ল। তিনি ব্যতিক্রমী এবং তর্কপ্রিয়। কোনো রকম সমালোচনার তোয়াক্কা তিনি করেন না।প্রচারে থাকতে বেলাগাম মন্তব্য করতেও পেছপা হন না।হয়ত সে কারনেই বিতর্ক পছন্দ করেন একটু বেশিই। তিনি হিমন্তবিশ্ব শর্মা। তিনি আসামের রাজৈনতিক চানক্য তথা বিজেপি শাসিত সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী।এই তিনিই ঐতিহ্যের আসাম বিধাসভা থেকে সমূলে হঠিয়েছেন দু'দফায় সরকারে থাকা কংগ্রেসকে। অথচ এই তিনিই ছিলেন বিগত কংগ্রেস সরকারের দুবারের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ-এর বিশ্বস্ত সেনাপতি। স্বমোহিমায় ছিলেন তিন তিনটে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের মন্ত্রী। অর্থ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য' মন্ত্রক। আর বিশ্ময়করভাবে বর্তমান বিজেপি সরকারেও তিনি ওই তিন দফতরের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তিনি হিমন্তবিশ্ব শর্মা।
বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনয়ালেরও তিনিই 'সেকেন্ড-ইন কমান্ডার'। সেই তিনিই সম্প্রতি রাজ্যের 'ফাঁকিবাজ'
শিক্ষকদের সবক শেখাতে গিয়ে ফের একবার বিতর্কে জড়িয়েছেন। শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেছেন, কর্তব্যে গাফিলতি করাটা পাপ। আর সেই পাপের পরিনাম মারন রোগ ক্যানসার।
অর্থাৎ, শিক্ষকরা ছাত্র পড়ানোয় ফাঁকি দিলে ক্যানসারে আক্রান্ত হতে হবে। তবে কী মন্ত্রীমশাই বলতে চেয়েছেন, পাপীদেরই ক্যানসার হয়! আর বিতর্কটাও শুরু হয়েছে ঠিক এখান থেকেই। বেজায় চটেছেন বাংলার মানুষ। ঠাকুর শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণেরও তো এই মারন রোগটাই হয়েছিল। তবে তিনিও পাপ কর্ম করেছিলেন। এমন অনেকেই আছেন, যাদের প্রিয়জন এই ব্যধিতে আক্রান্ত। মন্ত্রী শর্মার এহেন মন্তব্য তাঁদেরও আহত করেছে।আর ঠিক তখনই প্রশ্ন উঠেছে, এহেন মন্তব্যের পেছনে আর কোনো রহস্য নেই তো! খোদ মন্ত্রী হিমন্ত নিজে বলেছেন, এ সবই চক্রান্ত।
আমাকে কোড করে ভুল বার্তা দেওয়া হয়েছে। যেটা বলিনি কেন সেটা আমার বলে চালানো হচ্ছে! অথচ দিন দুই আগে কোলকাতায় এসে বাঙলায় গান শুনিয়ে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী সনোয়াল। সেইসঙ্গে দায় এড়িয়ে গেছেন হিমন্ত প্রসঙ্গে। কলকাতার সাংবাদিকদের একাংশ তো রীতিমতো রসিকতা করছেন। মজা করে একাধিক প্রশ্ন করেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। শিক্ষামন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার মন্তব্য নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ ছিলেন মৌনই।
0 comments: