বাঁশকে শিল্প হিসাবে গণ্য করা হয়নি, গাছ হিসাবে ভেবে শুধুই ধ্বংস করা হয়েছেঃ প্রধান মন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মােদী

গুয়াহাটি : অসম দেশের মধ্যে বাঁশ অন্যতম বনজ সম্পদ। রাজ্যে ৭২৩৮ বর্গ কিমি জুড়ে বাঁশ বন আছে। প্রায় শত বছৰ থেকেৰাজ্যের দুই পার্বত্য জেলা কাৰ্বি আংলং এবং উত্তৰ কাছাৰ পাৰ্বত্য জেলা বর্তমানে ডিমা হাসাও বাঁশ সম্পদে সমৃদ্ধ। কিন্তু নির্দিষ্ট বাঁশ নীতি না থাকায় এই সম্পদকে ব্যৱহার যাচ্ছিল না। যথেচ্ছাচাৰ ভাৱে বাঁশ জঙ্গল কেটে ধ্বংস কৰা হচ্ছিল। উত্তর পূর্বাঞ্চলে এই সর্ব প্রথম বিশ্ব বিনিয়ােগ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মােদী এই অঞ্চলে বাঁশ সম্পদের ধ্বংসে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বাঁশকে শিল্প হিসাবে গণ্য করা হয়নি, গাছ হিসাবে ভেবে শুধুই ধ্বংস করা হয়েছে। বাঁশ সম্পদকে শিল্প হিসাবে গণ্য করে কেন্দ্রীয় সরকার নির্দিষ্ট ভাৱে ব্যান্ধু পলিসি গ্রহণ করেছে। 
কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় ব্যান্ধু মিশন গড়ে তুলে ১৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে, এত বছর উত্তর পূর্বাঞ্চল বাঁশ সম্পদকে শিল্প হিসাবে গ্রহণ না করে শুধু লােকসান করে গেছে। ‘এ্যভ্যাণ্টেজ অসম’ নাম দিয়ে অসমে সর্ব প্রথম বিশ্ব বিনিয়ােগ শিল্প সন্মেলন শুরু হয়েছে। এই সম্মেলনে রাজ্যেৰ জৈৱ-বৈচিত্র্য সংরক্ষণকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, বাঁশ সম্পদকে ব্যৱহার করার জন্য কয়েকটি দেশ আগ্রহ প্রকাশ করেছে। দেশের অন্যতম অগ্রণী সংস্থা পতঞ্জলীও রাজ্যের জৈৱ-বৈচিত্র্যকে গুরুত্ব দিয়েছে। 
দেশে ২২ হাজারের বেশি ঔষধি গুণ সম্পন্ন গাছ গাছরা আছে। তারমধ্যে অসমেই আছে ৭ হাজারের বেশি ঔষধি গুণ সম্পন্ন গাছ। এই ঔষধি গুণ সম্পন্ন গাছকে সদ্ব্যৱহারের জন্য পতঞ্জলী অসমে প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা বিনিয়ােগ করবে। পতঞ্জলীর চিফ এক্সিকিউটিভ মেম্বাৰ বালা কৃষ্ণণ আজ এ কথা জানান। রিলায়েন্স কোম্পানির চেয়ারম্যন মুকেশ আম্বানী বলেন তিনি একজন প্রকৃতি প্রেমিক, অসমের জৈৱ বৈচিত্র্যের প্রতি তার টান আছে। অসমের পরিৱেশ প্রকৃতি সংরক্ষণের লক্ষ্যে এবং ইকো টুরিজমকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য এক বিশ্ব বিদ্যালয় গড়ে তুলবেন। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালেও অসমের বনজ সম্পদকে গুরুত্ব দিয়ে বাঁশ সম্পদকে সদ্ব্যৱহারের কথা বলেছেন।

SHARE THIS

No. 1 Web Media in North-East India. Maintained and Published by Saiyad Bulbul Jamanur Hoque on behalf of Save Media Solution (A unit of SAVE).

0 comments: