ওয়েব সংবাদ: প্রবল হই-হট্টগোলের মধ্যেই বুধবার রাজ্যসভায় পেশ করা হল তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিরোধী বিল। রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বিল পেশ করতে গিয়ে বলেন, লোকসভায় এই বিল পাস হওয়ার মধ্যেই মোরাদাবাদে এক মুসলিম মহিলাকে তাৎক্ষণিক তিন তালাক দেয় তাঁর স্বামী। তবে রাজ্যসভায় বিল পাস হওয়া নিয়ে চাপে শাসক শিবির। কেননা বিজেপি সেখানে এখনও সংখ্যালঘু।
বিল পেশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবি তোলে বিরোধীরা। এদিন সভা্য় কংগ্রেস নেতা অানন্দ শর্মা বিলটি সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর নোটিস দেন। তিনি ওই কমিটির সম্ভাব্য নামও সুপারিশ করেন।
তার জবাবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, কংগ্রেসের নোটিস নিয়ে তারা বিস্মিত। কারণ, যে কোনও নোটিস পেশ করার অন্ততপক্ষে ২৪ ঘণ্টা আগে জানাতে হয়।
জানা গিয়েছে, কংগ্রেস, তৃণমূল ও বিজেডি বিল সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর পক্ষে। তীব্র আপত্তি রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। এর আগে, গত সপ্তাহে ধ্বনিভোটের মাধ্যমে বিলটি পাস হয় নিম্নকক্ষে। প্রস্তাবিত বিলে তাৎক্ষণিক তিন তালাক বা তালাক-এ-বিদ্দতকে অবৈধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এই আইনের আওতায় স্ত্রীকে তাৎক্ষণিক তিন তালাক দিলে, স্বামীর তিন বছরের হাজতবাসের সংস্থান রয়েছে প্রস্তাবিত বিলে।
প্রস্তাবিত বিলে তাৎক্ষণিক তিন তালাকের শিকার হওয়া মুসলিম মহিলাদের বেশ কিছু অধিকারও দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট মহিলা নিজের ও নাবালক সন্তানদের জন্য স্বামীর কাছ থেকে খোরপোশের দাবি করতে ম্যাজিস্ট্রেটের দ্বারস্থ হতে পারবেন। পাশাপাশি, তিনি সন্তানদের হেফাজতের আবেদনও করতে পারবেন। প্রস্তাবিত বিল অনুযায়ী, যে কোনও আকারে তা সে মৌখিক হোক বা লিখিত অথবা ফোন, ইমেল, এসএমএস ও হোয়াটসঅ্যপের মতো বৈদ্যুতিন মাধ্যমে পাঠানো তাৎক্ষণিক তিন তালাককে বেআইনি ও অবৈধ হিসেবে বিচার্য হবে। বিলের বিরোধিতায় ইতিমধ্যেই সোচ্চার হয়েছে ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ। তাদের দাবি, রাজ্যসভায় এই বিল পাস হলে বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে।
0 comments: